জয়পুর: রাজস্থান কংগ্রেসের ঘরোয়া বিবাদ মিটে যাওয়ার ইঙ্গিত। আগামীকাল বিধানসভা অধিবেশন বসার প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পায়লট। হাত মেলালেন দুজনে। তিনি কিছুদিন আগেই বিদ্রোহ করেছিলেন গহলৌতের বিরুদ্ধে। সঙ্গে ছিলেন ১৮ কংগ্রেস বিধায়ক। এর জেরে পায়লটকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি উপ মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকেও সরিয়ে দেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সোমবারই পায়লট দেখা করেন রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে। তারপরই গহলৌত বনাম পায়লট সংঘাতে বরফ গলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাহুল-পায়লট সাক্ষাত্ নিয়ে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, আর কেউ নন, স্বয়ং রাহুল গাঁধী নিজে হস্তক্ষেপ করায় রাজস্থান কংগ্রেসের রাজনৈতিক সঙ্কট নির্বিঘ্নে মিটে গিয়েছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী পায়লট ও বিক্ষুব্ধ দলীয় বিধায়কদের ক্ষোভ মোকাবিলায় তিন সদস্যের কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন এআইসিসি-কে।

কাল বিধানসভা অধিবেশনের আগে গহলৌত নিজের বাসভবনে আজ সন্ধ্যায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছিলেন। আগেই শোনা যাচ্ছিল, সেখানে হাজির থাকতে পারেন পায়লট ও বিক্ষুব্ধ বিধায়করা।
পায়লট ও বাকিদের ফিরে আসার ব্যাপারে গহলৌত গতকাল বলেন, আমাদের যে বন্ধুরা চলে গিয়েছিলেন, আবার ফিরেছেন। দলের বিধায়কদের হতাশ হয়েছিলেন, এটা স্বাভাবিক। গোটা পরিস্থিতি যেভাবে তৈরি হয়, যেভাবে পায়লট অনুগামী বিধায়করা মাসখানেকের ওপর রাজ্যের বাইরে পড়ে থাকলেন, তাতে এই বিধায়কদের অসন্তুষ্ট হওয়াটা স্বাভাবিক। যদিও আমি ওদের বুঝিয়েছি, কখনও কখনও রাষ্ট্র, রাজ্য়, জনগণ ও গণতন্ত্রের সেবা করতে হলে সহনশীল হতে হবে আমাদের।
এদিকে রাজস্থানে গহলৌত সরকারের পতন ঘটানোর চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল যে দুই বিধায়ককে, সেই ভানওয়ারলাল শর্মা ও বিশ্বেন্দ্র গুপ্তার ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিয়েছে কংগ্রেস। এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পান্ডে ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন।
বিরোধী দল বিজেপিও আজ পরিষদীয় বৈঠকে কাল বিধানসভায় গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।