সিনিয়র আইপিএস অফিসার অরুণ বোথরা ট্যুইট না করলে রেলের এই সহৃদয় ভূমিকার কথা হয়তো অজানাই থেকে যেত।
তিনি ট্যুইট করেন, গতকাল রাতে ২০ লিটার উটের দুধ ট্রেনে মুম্বই পৌঁছেছে। পরিবারটি তার কিছুটা শহরের আরেক অভাবী ব্যক্তির সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। উত্তর-পশ্চিম রেলওয়ের সিপিটিএম শ্রী তরুণ জৈনকে ধন্যবাদ। কন্টেনারটা নেওয়ার জন্য যাতে ট্রেনটা নির্ধারিত রুটিনের বাইরে গিয়ে থামে, সেটা সুনিশ্চিত করেছেন, তাই।
বাচ্চাটির মা রেণু কুমারী ট্যুইটে ছেলের উটের দুধের অভাবে সমস্যায় পড়ার কথা ট্যুইট করে ট্যাগ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। লিখেছিলেন, স্যর, আমার সাড়ে তিন বছরের ছেলে অটিজম, নানা ধরনের ফুড অ্যালার্জিতে ভুগছে। ও বেঁচে আছে উটের দুধ আর সামান্য কিছু ডালের ওপর। লকডাউন শুরুর সময় আমার কাছে বেশিদিন চালানোর মতো উটের দুধ ছিল না। আমায় সাদরি (রাজস্থান) থেকে উটের দুধ বা তার পাউডারের ব্যবস্থা করতে সাহায্য করুন।
বোথরা সহ সারা দেশের নানা জনে ট্যুইটারে পরামর্শ, প্রস্তাব দেন। বোথরা যোগাযোগ করেন রাজস্থানের অদ্ভিক ফুডসের সঙ্গে, যারা দেশের উটের দুধ থেকে তৈরি পণ্যের প্রথম ব্র্যান্ড। তারা বাচ্চাটির জন্যই উটের দুধের পাউডার পাঠাতে রাজি হয়। কিন্তু তা মুম্বইয়ে পাঠানোটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
উত্তর-পশ্চিম রেলওয়ের চিফ প্যাসেঞ্জার ট্র্যাফিক ম্য়ানেজার তরুণ জৈন জানান, বোথরা বিষয়টা ট্যুইট করায় আমাদের গোচরে আসে। আমি আজমেঢ়ের সিনিয়র ডিসিএম মহেশচাঁদ জেওয়ালিয়ার সঙ্গে কথা বলি। আমরা ঠিক করি, লুধিয়ানা আর মুম্বইয়ের মধ্যে চলাচলকারী পার্সেল কার্গো ট্রেন ০০৯০২কে রাজস্থানের ফালনা স্টেশনে দাঁড় করানো হবে, যদিও সেখানে থামার কথা নয় তার। ফালনা থেকে দুধ সংগ্রহ করে মুম্বইয়ের ওই মহিলাকে পাঠানো হবে। জেওয়ালিয়ার মাধ্যমে বাকি সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে সমন্বয় স্থাপন করে গোটা বিষয়টি সম্পন্ন করা হয়। শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে বান্দ্রায় ওই মহিলাকে উটের দুধ সরবরাহ করা হয়। আমরা ভারতীয় রেলে বাণিজ্যিক লাভ দেখার কথা এখন ভাবছি না। আমাদের যেখানে, যেভাবে সম্ভব বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে, সাহায্য করতে বলা হয়েছে। আমাদের ট্রেন দেশের ১৮টা জেলার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে, মানুষকে সাহায্য করতে যা দরকার, আমরা করব।