নয়াদিল্লি: আগামীকাল ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক কৃষকদের। সপ্তম দফার বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। তার আগেই ৩ কৃষি আইনের প্রতিলিপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ করার কথা ঘোষণা করলেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। লহরি উৎসবের আগেই প্রতিবাদের নতুন ভাষা তৈরি করলেন আন্দোলনকারীরা।


কৃষক নেতা মনজিৎ সিংহ রাই রবিবার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, আগামী ১৩ জানুয়ারি লহরি উৎসব। ওইদিন কৃষি আইনের প্রতিলিপি পোড়ানো হবে। এইভাবে লহরি পালন করব আমরা। ২৩ জানুয়ারি কিষাণ দিবস পালন করব আমরা। নেতাজির জন্মদিবস উপলক্ষে এই দিন পালন করা হবে।
এদিন কৃষক নেতা ওঙ্কার সিংহ বলেন, আজ আন্দোলনের ৩৭ তম দিন। সরকারের জেদি মনোভাব ত্যাগ করা উচিত। যতক্ষণ না এই আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ পিছু হটব না আমরা। এটা খুব দুঃখজনক যে আন্দোলন করতে গিয়ে কৃষকদের মৃত্যু হচ্ছে। এখনও অত্যন্ত শান্ত আচরণ করছেন কৃষকরা।
উল্লেখ্য, আগামীকাল কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হবে কৃষকদের। ৩ কৃষি আইন সংক্রান্ত মামলায় ৫ জানুয়ারি শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। সপ্তম দফার বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্রর জন্য অপেক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের বক্তব্য তাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙে গিয়েছে। ২৬ জানুয়ারির মধ্যে সব দাবি না মিটলে আমরা দিল্লি ঢুকতে শুরু করব। সরকার বলছে ৫০ শতাংশ দাবি পূরণ হয়েছে। কিন্তু আমাদের সবথেকে বড় দাবি পূরণ করার দিকে এগোচ্ছে না সরকার।
এদিকে দাবি পূরণ না হলে রাজধানীর বুকে প্যারেড করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। শনিবার আন্দোলনকারীরা জানান, আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লিতে প্যারেড করবেন বিক্ষোভকারীরা। কৃষকরা জানান, ৬ জানুয়ারি থেকে আগামী ১৫ দিনের জন্য নতুন দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। রাজভবনের সামনে হবে পিকেটিং। ২৬ জানুয়ারির ট্রাক্টর মার্চের মহড়াও হবে এই ১৫ দিন। রাস্তা আটকে দিল্লির ৬ সীমান্তে এই মহড়া হবে বলে জানা গিয়েছে।