নয়াদিল্লি: সেনাবাহিনীতে (Army) নিয়োগের জন্য মোদি সরকারের অগ্নিপথ (Agneepath) প্রকল্পের বিরোধিতায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। দিকে দিকে বিক্ষোভ চলছে। এদিন বিহারের (Bihar) উপ মুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবীর (Renu Devi) বেতিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। যদিও ঘটনার সময় রেণু দেবী পাটনায় ছিলেন। হামলায় বেতিয়ার বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেণু দেবীর ছেলে।
বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে হামলার অভিযোগ: এদিন বিহারের সমস্তিপুরে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা জম্মু তাওয়াই গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও হামলায় যোগ দেন। রেল সূত্রে খবর, ৬টি বগি আগুনে পুড়ে গেছে। সমস্তিপুরেই দ্বিতীয় একটি ট্রেন, বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেসেও আগুন দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বগি। বিহারের লখিসরাইয়েও বিক্রমশীলা এক্সপ্রেসে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। যাত্রীরা কোনওরকমে বেরিয়ে আসেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আগুনে ট্রেনের চারটি কামরার ক্ষতি হয়েছে। বিহারের সুপলে আগুন দেওয়া হয় ট্রেনে। এই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও। সংবাদ সংস্থা ANI-র দেওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একদল যুবক ছুটছে। দেখা যাচ্ছে একাধিক বাড়ি, গাড়ির উপর হামলা চালাচ্ছে, ভাঙচুর করছে তারা। সংবাদ সংস্থা ANI-কে রেণু দেবীর ছেলে জানিয়েছেন, “আমাদের বেতিয়ার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে মা পাটনায় রয়েছেন।''
শুধু বিহারই নয়, বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে তেলঙ্গানাতেও। সেকেন্দ্রাবাদে ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও অবরোধ, গন্ডগোল হয়েছে হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ। মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরে অবরোধ হয়েছে ট্রেন। বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বাংলাতেও। আজ সকালে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে ট্রেন অবরোধ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রায় ২ ঘণ্টা চলে অবরোধ। এর জেরে শিয়ালদা বনগাঁ শাখায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। পরে রেল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির অনেক আগেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হাওড়া ব্রিজে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন কয়েকজন। ব্রিজের ওপর বসে পড়ে আচমকা শারীরিক কসরত্ করতে শুরু করেন। উত্তর বন্দর থানার পুলিশ ও হাওড়া ব্রিজের ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। পুরুলিয়ার বরাকর রোডেও আজ অবরোধ করা হয়। এর জেরে তৈরি হয় যানজট। অবরোধ তুলতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। তাতেও অবরোধ না উঠলে পুলিশ লাঠি চালায়। অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। পরে পুলিশ অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।