আগরা: স্বামী পেশায় রিকশা চালক। স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর হাসপাতালে বিল মেটানোর টাকা জোগাড় করতে পারেননি বহু চেষ্টাতেও। এরপরই নিজের সদ্যোজাতকে ১ লক্ষ টাকায় হাসপাতালকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আগ্রার এক দলিত দম্পতির বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি আগরার বাসিন্দা শিব চরণ তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে জে পি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী ববিতা। সিজারের খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা ও ওষুধ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা ধার্য করে হাসপাতাল। কিন্তু পেশায় রিকশাচালক স্বামী কোনওমতেই ওই টাকার বন্দোবস্ত করতে পারেননি।
দম্পতির অভিযোগ, তাদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সদ্যোজাতকে বিক্রি করার প্রস্তাব দেয়। এক লক্ষ টাকায় রফা হয়। হাসপাতালের তরফে যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। হাসপাতালের ম্যানেজার সীমা গুপ্তা জানিয়েছেন, কেউ বাচ্চা বিক্রি করেননি। দম্পতি ওই সদ্যোজাতকে দত্তক নেওয়ার জন্য দিয়েছেন। তাঁরা যা অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। আমাদের রেকর্ডে বিষয়টি নথিভুক্ত আছে। চুক্তিপত্রে দম্পতির সইও রয়েছে।
শম্ভু নগরে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বাস করেন শিব চরণ ও তাঁর স্ত্রী। দিনে খুব বেশি হলে ১০০ টাকা রোজগার। বড় ছেলের বয়স ১৮। একটি জুতোর কারখানায় কাজ করে সে। দুজনে মিলে কষ্টেশিষ্টে সংসার চালান।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন শিশু অধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করা নরেশ পরাশ। ববিতা প্রান্তিক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হলেও শিশু উন্নয়ন ও বিকাশ প্রকল্পের কোনও সুবিধা পাননি। এমনকি তিনি সন্তানসম্ভবা থাকার সময় আশা কর্মীরা কেউ তাঁর বাড়িতে যাননি বলেও অভিযোগ করেছেন নরেশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।