কলকাতা: আমেদাবাদ থেকে টেক অফের পরই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার। সিভিল হাসপাতালের হস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ল বিমান। ক্যান্টিনের দেওয়াল ফুঁড়ে ঢুকে পড়ে। চিকিৎসক, পডুয়া-সহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল? জানালেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আমদাবাদের সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল বিমানবন্দরের তেইশ নম্বর রানওয়ে থেকে, লন্ডনের উদ্দেশে সবে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার-৭৮৭। আর উড়ানের ৫ মিনিটের মধ্য়ে ভেঙে পড়ে সেই উড়ান। মুহূর্তে শেষ ২৪১ জনের জীবন। বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন একজন। ভরদুপুরে আমদাবাদের বিজে মেডিক্য়াল কলেজের হস্টেলের ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। ক্যান্টিনের দেওয়াল ফুঁড়ে ঢুকে যায় বিমানের একাংশ। বিমান ভেঙে পড়ায় ব্য়াপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালের হস্টেল, ক্য়ান্টিন। বেশ কয়েকজন চিকিৎসক পড়য়ার মৃত্য়ু হয়েছে। অনেকেই সেই সময় খাবার খাচ্ছিলেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "বুঝতে পারছিলাম না কী করব। আমার মনে হয়েছিল আমিও হয়ত মরে যাব, ভগবানের কৃপায় আমি বেঁচে গেছি, আমার বন্ধুরাও বেঁচে গেছে। ২জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। কারও হাতে চামচ ছিল, খেতে খেতে হয়ত মৃত্য হয়েছে এক পড়ুয়ার। দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়েছিল। খুব ভয়ানক দৃশ্য ছিল। যা হোক করে সেই জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার করেছি। প্রথমেই সিলিন্ডার বের করে দিয়েছি। ক্যান্টিন থেকে প্রচুর লাশ বের করেছি। সব মিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনের দেহ উদ্ধার করেছি।''
গতকাল এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং ড্রিমলাইনার ভেঙে পড়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলের ওপর। তাতে মৃত্যু হয় ২৪ জন চিকিৎসক-পড়ুয়ার। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। আহত অবস্থায় আরও ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিমান দুর্ঘটনার পর এদিন আমদাবাদের যান নরেন্দ্র মোদি। বিমান দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। সিভিল হাসপাতালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসক-পড়ুয়ারা ভর্তি রয়েছেন। ১০ মিনিট আহতদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আমদাবাদের এই বিমান দুর্ঘটনার কারণ কী তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। শেষ মুহূর্তে কী ঘটেছিল? যান্ত্রিক ত্রুটি? পাইলটের ভুল? নাকি এর পিছনে নাশকতাও থাকতে পারে? তা জানাতে পারে একমাত্র ব্ল্যাক বক্স। আমদাবাদের মেঘানিনগরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনারের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়েছে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডারও খোঁজ মিলেছে। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি গতকাল থেকেই তন্নতন্ন করে খোঁজা হয় বোয়িং 787-এর ব্ল্যাক বক্স। দুর্ঘটনাস্থলের চারপাশে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলে তল্লাশিও।