Ahmedabad Plane Crash: আমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ২৪১ জনের। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন লরেন্স ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান। বিগত দেড় বছর ধরে স্ত্রী'র সঙ্গে লন্ডনেই থাকতেন তিনি। সদ্যই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। সেই জন্যই দেশে এসেছিলেন লরেন্স। আর লন্ডন ফেরার সময় তাঁর সঙ্গেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। লরেন্সের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা। ক'দিন আগেই স্বামীকে হারিয়েছেন তিনি। এবার ছেলেকেও হারাতে হয়েছে এমন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায়। ক্রিস্টিয়ান পরিবারের সকলেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকস্তব্ধ। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে লন্ডন থেকে আমদাবাদ এসেছিলেন ছেলে। আর ফেরার সময় সেই ছেলেরই মৃত্যু হল এভাবে। মেনে নিতে পারছেন না কেউই। পরিবারের পরপর ২ জনের মৃত্যুর ধাক্কা সামলে উঠতে পারছেন না সদস্যরা। স্বামী এবং ছেলেকে হারিয়ে সবচেয়ে করুণ অবস্থা লরেন্সের মা রবিনা ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের।
সংবাদসংস্থা এএনআই- এর সঙ্গে কথা বলেছেন রবিনা দেবী। তিনি বলেছেন, ছেলে দেড় বছর ধরে স্ত্রী'র সঙ্গে লন্ডনে থাকছিলেন। দিন ১৫ আগে মৃত্যু হয় লরেন্সের বাবার। সেই খবর পেয়েই দেশে এসেছিলেন তিনি। ফিরে যাচ্ছিলেন লন্ডনে। ছেলেকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তাঁরাও। শেষের দিকে আর কথা বলতে পারেননি রবিনা দেবী। কান্নায় বুঁজে এসেছিল গলা। বাধ মানেনি চোখের জল। সন্তান হারানোর যন্ত্রণায় মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন এই প্রৌঢ়া। জানা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা লরেন্সের সঙ্গে বিমানবন্দরেও গিয়েছিলেন তাঁকে বিদায় জানাতে। সেটাই ছিল শেষবারের মতো লরেন্সেকে জীবিত দেখা।
বৃহস্পতিবার ১২ জুন টেক অফের পরেই ভেঙে পড়েছিল আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। আর সেই 'অভিশপ্ত' বিমানেই সওয়ার হয়েছিলেন ২৬ বছরের ভাবিক মাহেশ্বরী। দুর্ঘটনার ২ দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল ভাবিকের। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ শেষবার বাবার সঙ্গে কথা হয়েছিল ভাবিকের। তরুণের বাবা জানিয়েছেন, ছেলে ফোন করে বলেছিল সব ঠিকমতো হয়ে গিয়েছে। এবার প্লেন ওড়ার পালা।