নয়াদিল্লি: আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিল। বিস্ফোরণের জেরে ভয়াবহ অবস্থা। পোড়া, ঝলসানো, ছিন্নভিন্ন দেহ চেনার উপায় নেই। গতকালই এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন, 'আসার পর দেখলাম ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে।আগুন লেগেছে। চারিদিকে ধোঁয়া। কিছু দেখা যাচ্ছে না।' বলার অপেক্ষা রাখে না, অসংখ্য পরিবার চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, মৃতদেহের DNA নমুনা পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।' এদিকে সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, এবার নিহত যাত্রীদের সনাক্তকরণের জন্য স্বজনহারারা DNA ভেরিফিকেশনের অপেক্ষায় রয়েছেন।  

আরও পড়ুন, বিমানে ওঠার আগে মাকে ফোন করেছিলেন Crew দীপক, 'কষ্ট হচ্ছে..' ! গলা বুজে এল দিদিদের, 'পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল ভাই..'

ভারতের ইতিহাসে অন্য়তম ভয়াবহ বিমান দু্র্ঘটনা। ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্য়েই ভেঙে পড়ল, লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমান। বিমানে থাকা দুশো বিয়াল্লিশ জন আরোহীর মধ্য়ে দুশো একচল্লিশ জনেরই মৃত্য়ু হয়েছে। বিমানটি ভেঙে পড়েছে একটি ক্য়ান্টিনে। আর তার ধ্বংসাবশেষ গিয়ে পড়ে, পাশেই মেডিক্য়াল পড়ুয়াদের হস্টেলে। সেখানেও চব্বিশ জনের মৃত্য়ু হয়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২৬৫ জনের মৃত্য়ু হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, অধিকাংশক্ষেত্রেই পোড়া গলা দেহ উদ্ধার হয়েছে।  এবং চেনা যাচ্ছে না তাঁদের। ফরেন্সিক টিম ইতিমধ্যেই তাঁদের DNA সংগ্রহ করেছে। সাধারণত, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে অনেকক্ষেত্রেই মুখ দেখে বোঝার উপায় থাকে না। পরনের পোশাক দেখেও অনেকসময় ভুল করে বসেন প্রিয়জনেরা। তাই সনাক্তকরণে যাতে কোনওভাবেই ভুল না হয়, সেজনই DNA টেস্ট করা হয়। কেবলমাত্র ডিএনএ টেস্টের পরেই নিশ্চিত হওয়া যায়, নিহত ব্যক্তির আসল পরিচয় সম্বন্ধে। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, আমদাবাদের কসৌটি ভবনে দেহের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচ করানোর প্রক্রিয়া চলছে। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে নিহত যাত্রীদের পরিজনদের।

অমিত শাহ বলেন, বিস্ফোরণের ফলে তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, যে বাঁচানোর সুযোগটুকুই মেলেনি। DNA ইস্যুতে তিনি বলেন, 'বিদেশে যাদের আত্মীয় পরিজনরা রয়েছেন, তাঁদের জানানোর প্রক্রিয়াটিও শেষ হয়ে গিয়েছে। ওনারা পৌঁছলেই, DNA নমুনা নেওয়া হবে। এবং যত মৃতদেহ মিলেছে, তাঁদের DNA নমুনা নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। গুজরাতেই প্রায় হাজারের কাছাকাছি DNA টেস্ট করতে হবে। এই সকল DNA টেস্ট করার ক্ষমতা গুজরাতে রয়েছে। তাই ডিএনএ টেস্ট করার জন্য গুজরাতের বাইরে যেতে হবে না। '