নয়া দিল্লি: এমনটা যে হতে পারে আগেই আশঙ্কা করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই আশঙ্কাই সত্যি করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি। শুক্রবার সকাল থেকে ইরানের পরমাণু এবং‌ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করেছে ইজরায়েল। এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণ নিয়ে। 

 ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে । যদিও আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থা (IAEA) আরও জানিয়েছে যে হামলার সময় পারমাণবিক কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। IAEA জানিয়েছে যে ইরানের নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলার পরেও তেজস্ক্রিয়তার মাত্রায় কোনও বৃদ্ধি ঘটেনি। IAEA জানিয়েছে যে কোনও পারমাণবিক লিকেজ হয়নি। তবে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।                                               

এদিকে, ইজরায়েলের হামলার পরেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের শীর্ষ নেতা আলি খামেন। হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না ইরান, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ভোর রাতেই ইরানের উপরে হামলা চালায় ইজরায়েল। ৩৩০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। মূলত ইরানের পরমাণু ও মিসাইল ঘাঁটিগুলিতেই হামলা করেছে ইজরায়েল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও, এমনটাই খবর। 

ইজরায়েল ইরানে বিমান হামলার পাশাপাশি ড্রোন হামলাও চালায়। ইরানের বিভিন্ন শহরে শোনা গিয়েছে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। ইজরায়েলের হামলার পর ইরানজুড়ে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কায় ইরানের আকাশসীমা দিয়ে চলছে না কোনও বিমান। বেশ কিছু এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকে মাঝপথে ভারতে ফিরে আসতে হয়েছে। 

ইজরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফি ডেফরিন বলেন, ‘‌ইরান আনুমানিক ১০০টির বেশি ড্রোন ইজরায়েলের সীমান্তে পাঠিয়েছে। আমরা তা প্রতিহত করার কাজ করছি। তিনিই আগে জানিয়েছিলেন, ইজরায়েল ২০০টি ফাইটার জেট পাঠিয়েছিল ইরানের ১০০টিরও বেশি পরমাণু ও মিসাইল ঘাঁটিতে হামলা চালানোর জন্য। মোট ৩৩০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে।