Ahmedabad School Incident: আমদাবাদের স্কুলে ঘটেছে ভয়ঙ্কর ঘটনা। দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে ছুরি দিয়ে কুপিয়েছেন তারই এক জুনিয়র। নিচু ক্লাসের ওই পড়ুয়ার আঘাত এতই তীব্র ছিল যে হাজার চেষ্টার পর দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় আমদাবাদের ওই স্কুলে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্কুল চত্বরেই ভাঙচুর চালান অভিভাবকদের একাংশ। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর সেই সূত্রেই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে অভিযুক্ত বালকের সঙ্গে তার এক বন্ধুর ইনস্টাগ্রাম চ্যাট। পুলিশের দাবি, ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে বন্ধুর কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে সে। 

মঙ্গলবার দশম শ্রেণির পড়ুয়া নয়ন সানতানির সঙ্গে সঙ্গে তর্ক হয় তার এক জুনিয়রের। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে ওই জুনিয়র পড়ুয়া স্কুলের সিনিয়র দাদাকে ছুরি দিয়ে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে। সূত্রের খবর, স্কুলের বাইরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে দশম শ্রেণির ওই ছাত্র। শহরজুড়ে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। মূলত শামিক হন ছাত্রছাত্রীদের মা-বাবারা। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রে, ইনস্টাগ্রামে অভিযুক্ত ছেলেটি তার বন্ধুর সঙ্গে কী কী কথা বলা হয়েছে তার একটি বিবরণ দেওয়া হল নীচে 

বন্ধু - ভাই তুমি কিছু করেছ আজ? 

অভিযুক্ত- হ্যাঁ 

বন্ধু- ভাই তুমি ছুরি চালিয়েছ?

অভিযুক্ত- তোকে কে বলল? 

বন্ধু- এক মিনিটের জন্য ফোন করো, ফোনে কথা বলছি 

অভিযুক্ত- না না 

বন্ধু- চ্যাটে এসব কথা নয়। আমার মাথায় প্রথম তোর নামই এল। তাই তোকে বললাম। 

অভিযুক্ত- দাদা আছে সঙ্গে। ও জানে না। ওকে কে বলল? 

বন্ধু- ও বোধহয় মরে গেছে 

অভিযুক্ত- সে কী, কে ছিল? 

বন্ধু- তুই ছুরি চালিয়েছিলি? সেটাই জিজ্ঞেস করছি 

অভিযুক্ত- হ্যাঁ 

ওই ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে এও দেখা গিয়েছে যে যখন অভিযুক্তকে তাঁর বন্ধু জিজ্ঞেস করেছে যে কেন সে ছুরি চালিয়েছে, জবাবে অভিযুক্ত বলছে, 'আরে আমায় বলছিল যে কে তুই, কী করে নিবি?' অভিযুক্তর এমন কথা শুনে তার বন্ধুকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'মারধর করতে পারতিস। তাই বলে মেরে দিবি কেন?' বন্ধুর এই কথায় অভিযুক্ত ভাবলেশহীন হয়ে বলেছে। 'ছাড় না, যা হয়েছে, হয়ে গেছে।' আরও একটি মেসেজে অভিযুক্তকে তার বন্ধুর উদ্দেশ্যে এও বলতে দেখা গিয়েছে, 'যা বলে দে আমি কুপিয়েছি।' 

তথ্যসূত্র- এনডিটিভি