নয়াদিল্লি: করোনার গ্রাস থেকে যাঁরা নিজেদের বাঁচাতে পেরেছেন, তাঁদের ত্যাগ করবেন না। এতে সমাজে অসুবিধে সৃষ্টি হচ্ছে। এইমস ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া এ কথা বললেন।


তাঁর বক্তব্য, সমাজে এঁদের গ্রহণ করুন, দেখুন, কীভাবে এই পরিবারগুলিকে সাহায্য করা যায়। এঁদের এক ঘরে করে দেবেন না। বেশিরভাগ করোনা রোগী যে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটা বিরাট আশার কথা। তা সত্ত্বেও আমরা তাঁদের এক ঘরে করে রাখছি। ফলে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে, রোগের লক্ষণ দেখা দিলেও অনেকে তা স্বাস্থ্যকর্মীদের জানাতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে সঙ্কটে পড়ছে সমাজ। শুধু তাই নয়, এতে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। করোনা বা সাধারণ জ্বরের লক্ষণ যাঁদের রয়েছে, এক ঘরে হয়ে পড়ার ভয়ে তাঁরাও চিকিৎসকের কাছে আসছেন না, রোগ লুকনোর চেষ্টা করছেন।

গুলেরিয়া বলেছেন, করোনা কোনও কঠিন রোগ নয়, ৯০-৯৫ ভাগ অসুস্থ মানুষই তো সেরে উঠছেন।  কিন্তু যদি রোগ চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়, তবে ঠিকমত চিকিৎসার অভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে হু হু করে, বেড়ে যাবে মৃতের সংখ্যাও।

দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ২১,০০০ ছাড়িয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১,৪০৯ জনের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে করোনা। জানাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।