১২ জুন দুপুর ১ টা ৩৮।  আমদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার। ভারতের বিমান পরিবহণের ইতিহাসে, এই সময় লেখা থাকবে কালো দিন হিসেবে। কার দোষে এত বড় বিপর্যয় ঘটল? উত্তর এখনও অজানা। এরই মধ্যে আবার বিভ্রাটের জল্পনা। সেই এয়ার ইন্ডিয়া। সেই আমদাবাদ। গন্তব্য সেই লন্ডন। বাতিল হল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান । টেক অফের আগেই AI-159 বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি  ধরা পড়ে বলে শোনা যায়। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যাখ্যা অবশ্য আলাদা। 

আমদাবাদে বিপর্যয়ের পর প্রথম লন্ডনগামী বিমান ছিল এটি। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর এবার অতি সতর্ক এয়ারলাইন্স। ওড়ার আগেরই হচ্ছে বারবার চেকিং। শোনা যায়, তাতেই ধরা পড়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি। তার জেরেই কি বাতিল করা হল এয়ারইন্ডিয়ার AI-159 বিমানটি? সেই জল্পনাই চরমে ওঠে।  দুর্ঘটনার পর আজ প্রথম আমদাবাদ থেকে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল বিমানের।  প্রথমে শোনা যায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উড়ানটি বাতিল করা হয়েছে।  চরম হয়রানির মুখে পড়েন যাত্রীরা।  তবে পরে এয়ার ইন্ডিয়া অন্যরকম ব্যাখ্যা দেয়। 

পরে অবশ্য এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, কোনও কারিগরি ত্রুটি ছিল না,খবর এনডিটিভি সূত্রে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আমদাবাদ থেকে গ্যাটউইকগামী Flight AI159 টি বাতিল করার কারণ হল বিমানটি উপলব্ধই ছিল না।   আকাশসীমা সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এবং অতিরিক্ত সতর্কতামূলক চেকিংয়ের ফলে বিমানটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে ঘুরতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা যে উঠছে, তা ঠিক নয়। এয়ারলাইনস আরও উল্লেখ করেছে, যাত্রীদের অসুবিধার জন্য তারা দুঃখিত এবং তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাত্রীরা যদি টিকিট বাতিল করতে চান অথবা বিনামূল্যে টিকিট পুনর্নির্ধারণ করতে চান, তাহলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতও দেওয়া হবে। কলকাতায় খালি করা হল বিমানএদিন কলকাতাতেও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ধরা পড়ে যান্ত্রিক ত্রুটি। সানফ্রান্সিসকো থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বই যাচ্ছিল AI-180 উড়ান। বিমানে যাত্রী ছিলেন ২১১ জন। পাইলট ও ক্রু-সহ ১৭ জন মিলিয়ে সওয়ারির সংখ্যা ছিল ২২৮ জন। রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমান। পাইলট জানান, বিমানের বাঁ দিকের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। এরপর ৫টা ২০ মিনিটে যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। ঘটনাচক্রে এটিও ছিল বোয়িং বিমান। 

নাগপুরে বোমাতঙ্কঅন্যদিকে, এদিনই ইন্ডিগোর মাসকট-কোচি-দিল্লি উড়ানেও বোমাতঙ্ক হয়। নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। মাসকট থেকে কোচি হয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ইন্ডিগোর 6E 2706 বিমানের। বোমা রাখা আছে বলে হুমকি দেওয়া হলে নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটিকে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করানো হয়। যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনার পর শুরু হয় তল্লাশি। বিমানে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলে জানিয়েছেন নাগপুরের DCP।