ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ। আরও আরও দেহাংশ উদ্ধার হয়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা । আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ধ্বংসে এখনও রহস্য। উড়ানের ২৭ সেকেন্ডেই কীভাবে দুর্ঘটনা? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। হয়ত হস্টেলের ছাদ থেকে পাওয়া একটি ব্ল্যাক বক্স, থেকে পাওয়া যেতে পারে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের পাইলট ও যাত্রী-সহ ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন এই প্লেনের একমাত্র যাত্রী। বিমান ভেঙে আরও ২৪ জনের মৃত্যু বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। তাই মনেই হচ্ছে, মৃতের সংখ্যাটা আরও বেশি। এখনও ধ্বংসস্তূপ আমদাবাদের মেঘানিনগরের BJ মেডিক্যালের হস্টেল । সেখানে যত সময় যাচ্ছে, বের হচ্ছে টুকরো টুকরো দেহ বা গলা-পচা অংশ।
উদ্ধারকারী অফিসাররা মনে করছেন, বিমানটি ধসে পড়ার সময় এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের ভেতরে এবং আশেপাশের তাপমাত্রা প্রায় অকল্পনীয়, অসনীয় জায়গায় পৌঁছায়। বিশাল পরিমাণের জ্বালানি থাকার দরুণ বিমানটি ভেঙে পড়ার সময় তাপমাত্রা ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। এর ফলে এলাকার তাপমাত্রাও ভয়াবহ ভাবে বেড়ে যায়। এর ফলে উদ্ধার কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতটাই প্রবল ছিল তাপমাত্রা, ওই অঞ্চলে কাকপক্ষীরাও বাঁচেনি। এলাকার কুকুররাও ঝলসে যায় তাপে। ধ্বংস স্তূপ থেকে মিলছে পশুপক্ষীর দেহাংশও। এক দমকল আধিকারিক জানান, বিমানের জ্বালানির ট্যাঙ্কটি ফেটে যাওয়ায় ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড হয়। তার ফলে তাপমাত্রা মুহূর্তের মধ্যে ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। এর ফলে এলাকার পশুপক্ষীও ঝলসে যায়। প্রাণে বাঁচেনি। কেউ জীবিত থাকেনি। আশেপাশের পশু-পাখিরাও পালানোর সময় পায়নি।
২০১৭ সালে SDRF-তে যোগদানকারী একজন কর্মী ইন্ডিয়া টু-ডে কে জানান, তিনি আগেও সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন কিন্তু কখনও এমন বিপর্যয় দেখেননি।তিনি জানানস পিপিই কিট নিয়ে এসেও লাভ হয়নি। কিন্তু তাপমাত্রা এত বেশি ছিল যে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এদিকে , আমদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর বিমান সুরক্ষার জোর দেওয়ার নির্দেশ দিল ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন DGCA. এয়ার ইন্ডিয়াকে DGCA জানিয়েছে, বোয়িং 787-8 এবং 787-9 বিমানগুলির সুরক্ষায় আরও নজর দিতে হবে। ১৫ জুন থেকে নতুন নির্দেশ অনুসারে কাজ করতে হবে এয়ার ইন্ডিয়াকে। ভারত থেকে এই বিমানগুলির উড়ানের আগে ওয়ান টাইম চেক বাধ্যতামূলক। জ্বালানি, কেবিন এয়ার কম্প্রেসর, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেম, হাইড্রোলিক সিস্টেম, টেক-অফ প্যারামিটার-সহ সমস্ত কিছু পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সবকিছু পর্যালোচনা করে DGCA-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।