শৌভিক মজুমদার, কলকাতা: আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি। গত ২৬ মার্চে জন্ম হয়েছে একটি জেব্রা শাবকের। এতদিন মা ও শাবক চিকিত্‍সকদের পর্যবেক্ষণে ছিল। আজ জেব্রা শাবকটিকে এনক্লোজারে ছাড়া হয়। এই নিয়ে চিড়িয়াখানায় জেব্রার সংখ্যা হল ৭। 


ভোটের শহরে যখন রঙের বিভাজন। তখন একই শরীরে একাধিক রং নিয়ে নতুন অতিথির আগমন। গত ২৬ মার্চ, পৃথিবার আলো দেখলেও এতদিন তাকে সর্বসমক্ষে আনা হয়নি। বরং মায়ের সঙ্গে যত্ন করে রাখা হয়েছিল তাকে। শুক্রবারই প্রথম আনা হল সর্বসমক্ষে। আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন জেব্রা শাবকের জন্মের পর তাকে নিয়ে উত্‍সাহ কম নয়। নতুন শাবকের এখনও নাম রাখা হয়নি।  তবে তার মায়ের নাম দ্যুতি। 


নতুন জেব্রা শাবককে দেখতে দর্শকদের আগ্রহও কম ছিল না। সম্ভবত নতুন অতিথিও  প্রথমবার জেব্রার এনক্লোজারে এসে একই রকম  দেখছিল আশপাশের পরিবেশ। সূত্রের খবর, এই নিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানায় জেব্রার সংখ্যা হল ৭।


চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্ত জানিয়েছেন, ২০১০–এ ইজরায়েল থেকে চারটি জেব্রা আলিপুর চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল। ২টি পুরুষ ও ২টি স্ত্রী। তাদের মধ্যে ছিল এই দ্যুতি। তবে এই চিড়িয়াখানা থেকেও দেশের অন্যান্য চিড়িয়াখানায় জেব্রা পাঠানো হয়েছে। আপাতত মায়ের দুধ খাচ্ছে শাবকটি। নামকরণ এখনও হয়নি। তিনি আরও জানান, মানুষ যেমন নবজাতককে দেখতে কৌতুহলী হয়, তেমনি জেব্রারাও তাদের সমাজে নবজাতককে দেখতে কৌতুহলী হয়ে ওঠে। এদিন যখন বাচ্চাটিকে তার মায়ের কাছে খাঁচায় ছাড়া হয়, তখন বাকি জেব্রারা সবাই কাছে এগিয়ে আসে। ফলে বিপদের আশঙ্কা করে তার মা ধাই ধাই লাথি চালিয়েছে। অবশ্য এটা একেবারেই সাময়িক। একটু পরেই যে যার জায়গায় ফিরে গেছে। বাচ্চাটিও মনের সুখে মায়ের সঙ্গে খাঁচার এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিনে নিয়েছে তার নতুন বাসস্থান। 


উল্লেখ্য, গত মাসে নজর এড়িয়ে সিংহের এনক্লোজারে ঢুকে পড়েন পটাশপুরের ব্যক্তিকে আক্রমণ সিংহের। হাত-পা-মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর। গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালীঘাটে পুজো দেওয়ার নাম করে গতকাল বাড়ি থেকে বেরোন ওই ব্যক্তি।