২০১৯ এর ২৬ এপ্রিল আলওয়ারের থানাগাজি এলাকায় স্বামীর সামনেই ওই ৫ জন তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কিন্তু গণধর্ষণের বলে দাবি করা একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে শোরগোল ফেলা পর্যন্ত এফআইআর দায়ের, ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্বের অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। গত ১৮ মে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে, এফআইআর দায়ের হওয়ার ১৬ দিন বাদে। এফআইআরে বলা হয়, চারজন ও এক নাবালক মহিলাকে ধর্ষণ করে, আরেকজন ছবি তুলে রাখে। এমনকী তারা মহিলাকে চাপ দেয়, ১০ হাজার টাকা পেলে ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে না।
আজ তফসিলি জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার রোধ) আইনে মামলার শুনানি করা বিশেষ আদালত রায় ঘোষণা করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭ (দাঙ্গাবাজি), ১৪৯ (বেআইনি জমায়েত),৩২৩ (জেনেশুনে আঘাত করা), ৩২৭ (কারও সম্পত্তি হাতাতে ইচ্ছে করে আঘাত বা বেআইনি কাজ ঠেকাতে বাধাদান), ৩৪১ (অন্যায় ভাবে বিরত রাখা), ৩৪২ (অন্যায় ভাবে আটকে রাখা), ৩৫৪ বি (মহিলার সম্ভ্রমহানি করা), ৩৬৫ (কাউকে আটকে রাখতে তলে তলে ছক কষা), ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ), ৩৮৪ (তোলাবাজি), ৩৯৫ (ডাকাতি) ও ৫০৬ ( অপরাধমূলক ভীতিপ্রদর্শন) ধারায় অভিযুক্ত করা হয় ছোটে লাল, হংসরাজ গুর্জর, অশোক কুমার গুর্জর, ইন্দরাজ সিংহ গুর্জরকে। এফআইআরে পুলিশ তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের নানা ধারা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনও যুক্ত করে।
তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালে রাজ্য সরকার দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগে তত্কালীন পুলিশ সুপার রাজীব পাছারকে সরিয়ে দেয়, সাসপেন্ড করে থানাগাজির এসএইচও সর্দার সিংহকে।