দিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তা নিয়ে আলোচনায় আজ সকাল ১১টায় ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এবং পরিস্থিতি মোকাবিলার একাধিক দিক নিয়ে কথা বলেন। 


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের একটি বিবৃতি অনুযায়ী, "বর্তমান মহামারী ওয়ান্স ইন আ সেঞ্চুরি ক্রাইসিস।" পাশাপাশি বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, এই মহামারী গোটা বিশ্বকে একটা বড় চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়েছে। এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে সরকারের সমস্ত বিভাগ একত্রিত হয়ে দ্রুত কাজ করছে।" তিনি মন্ত্রীদের অনুরোধ করেছেন, নিজেদের পরিসরের সমস্ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন এবং তাঁদের প্রতিক্রিয়া নিন। তিনি স্থানীয় স্তরে মানুষের সমস্যাগুলি দ্রুত চিহ্নিত করে তা সমাধান নিশ্চিতের ওপর জোর দিতে বলেছেন এদিন। 


গত ১৪ মাসে রাজ্য, কেন্দ্র এবং দেশের মানুষ মহামারী মোকাবিলায় যা যা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, এদিনের বৈঠকে তা পর্যালোচনা করে কাউন্সিল। অন্যদিকে বৈঠকের পর নিজের টুইটার হ্যান্ডেল টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, "কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছিলাম। এখনও পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করা, চিকিৎসার সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া এবং অক্সিজেন উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।"



করোনা আবহে হাসপাতালের বেড, অক্সিজেনের ব্যবস্থা, উৎপাদন, এছাড়াও অক্সিজেন সরবরাহ-সংরক্ষণ এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিকে নজর রাখার বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে কীভাবে কাজ চলবে সে বিষয়েও এদিন আলোচনা করেন মোদি। হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়াতেও কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে বিষয়েও কথা বলেন বৈঠকে। 


তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেড়শো মিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে। তবে মহামারীর সঙ্গে লড়াই আরও দীর্ঘ। করোনা আবহে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব, স্যানিটাইজেশনের দিকগুলির ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।