নয়া দিল্লি : অনলাইনের ফাঁদ পাতা ভুবনে নিত্যদিন উপচে পড়ছে টোপ। একবার উত্তর দিলেই নগদ হাপিস আপনার। কেভিডকালে চিন্তা বাড়াচ্ছে অনলাইনে লেনদেন।


ভালর মাঝেও 'কালোর আশঙ্কা'। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সাধু উদ্যোগে হুল ফোটাচ্ছে প্রতারকদের মায়াজাল। অনলাইনে একের পর এক ফাঁদ পাতছে হ্যাকাররা। যার জেরে কোনও না কোনও সময় বিপদে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। সম্প্রতি গ্রাহকদের বিপদ থকে বাঁচাতে সাবধান করেছে দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক। অনলাইনের প্রতারণা রুখতে সজাগ করছে SBI, ICICI, PNB-র মতো সংস্থা।


কোন উপায়ে চলছে লোক ঠকানো ?


আগে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চাওয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল প্রতারণার হাতিয়ার। ব্যাঙ্কের তরফে বার বার বার্তা দেওয়ায়, এই নিয়ে এখন অনেকটাই সচেতন গ্রাহকরা। বেগতিক দেখে এবার অন্যপথে গ্রাহক ঠকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে জালিয়াতিচক্র। 'ফিশিং টুল' হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইমেল, কিউআর কোড স্ক্যানার। এছাড়াও ব্যাঙ্কের নামে ভুয়ো কল সেন্টার তো লেগেই রয়েছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ ফোন করে গ্রাহকের গোপন তথ্য হাতানোর চেষ্টা করছে।


প্রতারণা নিয়ে ব্যাঙ্কের বক্তব্য


প্রতারকদের থেকে গ্রাহকদের বাঁচাতে পাল্টা বার্তা পাঠাতে শুরু করেছে ব্যাঙ্কও। যেখানে বলা হয়েছে, ইমেলে ভুয়ো ব্যাঙ্কের নাম করে নানা জায়গায় নগদ রাখার কথা বলছে ষড়যন্ত্রীরা। ভুল করেও সেই ফাঁদে পা দেবেন না। অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকের কেওয়াইসি চাইছে এই ভুয়ো টেলিকলাররা। পরে কেওয়াইসি আপডেটের নামে নগদ হাতানোর তাল করছে তারা। কখনোই ফোনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের কাস্টমার আইডি, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন নম্বর ছাড়াও সিভিভি চাইতে পারে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।


সতর্কবার্তায় কী বলছে এসবিআই ?


সম্প্রতি প্রতারকদের থেকে গ্রাহকদের বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক। টুইটারে স্টেট ব্যাঙ্ক লিখেছে, অনেক ক্ষেত্রেই অপরিচিত লোকজন টাকা দেওয়ার জন্য আপনাকে নিজের কিউআর কোড শেয়ার করতে বলেন। ভুল করেও এই কাজটি করবেন না। তাতে আপনার টাকা অন্যের হাতে চলে যাবে। মনে রাখবেন, আপনি কাউকে টাকা পাঠাতে গেলে কিউআর কোড প্রয়োজন হয়। অন্যের থেকে টাকা পাওয়ার জন্য কিউআর কোড দেওয়ার প্রয়োজন নেই। একই কথা বলছে, পিএনবি। তাদের দাবি, ভুয়ো ইমেলে অনেক সময় এক ক্লিকেই টাকা হারাতে পারেন গ্রাহক। তাই ব্যাঙ্কের নামে মেইল দেখলেও যাচাই না করে খুলবেন না।