জেনেভা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে এলে আরও বহু দেশের চিনের মত মৃতের সংখ্যা সংশোধন করতে হতে পারে। চিন তাদের ভূখণ্ডে করোনায় মৃতের সংখ্যা এক লাফে প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু এ কথা বলল। তাদের বক্তব্য, ইউহান শহরে সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুত ছড়ায়, ফলে আধিকারিকদের পক্ষে প্রত্যেক মৃত্যু ও প্রত্যেক সংক্রমিতের খবর নথিবদ্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে।


এখন কথা হল, ইউহানের আধিকারিকরা প্রথম থেকেই সংক্রমণের কথা চাপার চেষ্টা করেন। যে চিকিৎসকরা সংক্রমণের ব্যাপারে অনলাইনে সতর্ক করার চেষ্টা করেন, তাঁদের কড়া সাজা দেওয়া হয়। তা ছাড়া সংক্রমিত রোগীদের ব্যাপারে তথ্য নথিবদ্ধ করার সময় সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে, কারণ, গুনতির সময় নিজেদের মানদণ্ডেই বারবার পরিবর্তন করে তারা।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য চিনের পাশে প্রথম থেকেই দাঁড়িয়েছে, তাদের বক্তব্য, সংক্রমণ যখন ছড়াচ্ছে, তখন প্রত্যেক মৃত ও প্রত্যেক সংক্রমিতের তথ্য রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। অন্য বহু দেশের ক্ষেত্রেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যখন তাদের পিছনে ফিরে নিজেদের দায়ের করা রেকর্ড খতিয়ে দেখতে হবে, ভাবতে হবে, আমরা কি সব মামলা বুঝতে পেরেছিলাম?

তাদের বক্তব্য, ইউহান শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করোনা ছড়ানোর সময় মারাত্মক চাপে ছিল, অনেক রোগী বাড়িতেই মারা যান, আবার অনেকের মৃত্যু হয় অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রে। স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের চিকিৎসাতেই মনপ্রাণ লাগিয়েছিলেন, কাগজপত্রে সব তথ্য নথিবদ্ধ করার সময় পাননি। তবে সব দেশকে মৃত ও সংক্রমিতের ব্যাপারে তথ্য ঠিক সময়ে নথিবদ্ধ করার অনুরোধ করেছে তারা।

করোনা তথ্য গোপন করা নিয়ে গোটা বিশ্বে সমালোচিত চিন মৃতের সংখ্যা গতকাল সংশোধন করেছে। ইউহানে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ১,২৯০। সব মিলিয়ে চিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪,৬৩২।