হিন্দু মহাসভা গডসেকে পূজনীয় বলে শ্রদ্ধা করে, তাঁকে অনুসরণ করে বলে জানান পান্ডে।
গতকালের গুলিচালনায় অভিযুক্ত নাবালক বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি তারা। তার হয়ে সাফাই দেন পান্ডে। তার নামও করেন, গোপাল। বলেন, দেশবিরোধী কাজকর্মের বিরুদ্ধে কেউ যদি অস্ত্র হাতে তুলে নেয়, দেশবিরোধী কন্ঠস্বর স্তব্ধ করতে হাতিয়ার ব্য়বহার করে, এই দেশে সন্ত্রাসবাদ খতম করতে অস্ত্র হাতে রাখে, তবে হিন্দু মহাসভার চোখে সে সম্মান পাওয়ার যোগ্য। আমাদের মত এটাই। গতকাল গোপাল সেটাই করেছে। সে বলেছে, এসো, তোমাদের আজাদি দিচ্ছি। তাহলে এর চেয়ে দেশভক্তির বড় প্রমাণ আর কী চাই। আমাদের কাছে ও সম্মানের যোগ্য। ও ভারতের নতুন চেতনাকে জাগ্রত করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধান, ভগবত গীতা পরিষ্কার বলেছে, আপন ধর্ম রক্ষায় যদি কাউকে আপনার খুন করা প্রয়োজন হয়, তা মেনে নেওয়া যায়। দেশের সংবিধান এটাই জানতে চায়, কী উদ্দেশ্যে খুন করতে হল? প্রাণ বাঁচানোর জন্য কাউকে হত্যা করে থাকলে সেজন্য পৃথক সাজা হয়। কিন্তু নিজের দেশের জন্য় কাউকে হত্যা করতে হলে কোনও শাস্তিই হওয়া উচিত নয়।
গতকালের অভিযুক্ত গতকাল আক্ষরিক অর্থেই আজাদি দেওয়ার জন্য গুলি চালিয়েছিল বলে দাবি করে পান্ডে বলেন, সে জামিয়ার দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া লোকজনের বিরোধিতা করে থাকলে দেশের সম্মান, সংবিধান রক্ষার জন্যই অস্ত্র হাতে নিয়েছিল। আমার অনুভব হল, ও একজন দেশভক্ত, হিন্দুত্ববাদী এবং এমন প্রতিটি বীর সন্তানকে মহাসভা সম্মান জানাবে যে, সংবিধান বাঁচাতে ভারতমাতার মান-মর্যাদা রক্ষায় কাজ করছে।