নয়াদিল্লি: মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, কমেছে আর্থিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান। এই পরিস্থিতিতে বাজেট পেশ খুব একটা সহজ কাজ নয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সামনে বড়সড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি ও বড়সড় সংস্কারই অর্থনীতির এই নিম্নগামিতা রুখতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।

গতবার দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করে নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রথম যে বাজেট পেশ করে, তাকে তারা বলেছিল জনগণের বাজেট, এর মাধ্যমে ২১ শতকে দেশের উন্নয়ন গতি পাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সীতারমনের বাজেটকে স্বাগত জানান, বলেন, এর ফলে দরিদ্রদের ক্ষমতায়ণ হবে, সুদিনের মুখ দেখবে যুবসমাজ। দেখে নেওয়া যাক, গত বাজেটে ঠিক কী কী ঘোষণা করেন নির্মলা।

  • ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে ভারত।

  • ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সর্বমোট বাজেট খরচ হবে ২৭,৮৬,৩৪৯ কোটি টাকা।

  • ২০২০ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ১২ শতাংশ।

  • ২০১৯-২০ সালে ভারত ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে।

  • ২০২০ অর্থবর্ষে বিলগ্নীকরণের লক্ষ্যমাত্রা হবে ১.০৫ লাখ কোটি।

  • ৫ বছরে পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে খরচ হবে ১০০ লাখ কোটি টাকা।

  • বিমা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ।

  • ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য বছরে ১ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুললে ২ শতাংশ টিডিএস কাটা হবে।

  • অপ্রচলিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা পেনশন।

  • রেলওয়ের জন্য বরাদ্দ ৬৫,৮৩৭ কোটি টাকা।

  • বাড়ির মালিকরা যে ঋণ নিয়েছেন তার সুদের ওপর অতিরিক্ত দেড়লাখ টাকা করছাড়।

  • তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলিতে সর্বনিম্ন পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং ২৫ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ।


এছাড়া অর্থ মন্ত্রক বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে। সেগুলি হল

  • পরিকাঠামো

  • ডিজিটাল অর্থনীতি

  • ছোট বড় সংস্থায় কর্মসংস্থান

  • বিনিয়োগ শুরুর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প


পাশাপাশি

  • ৩ কোটির মত খুচরো ব্যবসায়ী ও ছোট দোকানদার, যাঁরা বার্ষিক দেড় কোটির কম টাকা ব্যবসায় খাটান, তাঁদের জন্য পেনশনের সুবিধে।


অর্থবর্ষ ২০১৯-২০-তে সমস্ত জিএসটি-নথিবদ্ধ এমএসএমইগুলিকে সুদের হারে ২ শতাংশ ভর্তুকি দিতে বরাদ্দ ৩৫০ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর, ডেডিকেটেট ফ্রেইট করিডোর, ভারতমালা ও সাগরমালা প্রকল্প, জল মার্গ বিকাশ ও উড়ান প্রকল্পে বিরাট বরাদ্দ করা হয়। বলা হয়, ভারতমালা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্যগুলির রাস্তাঘাটের উন্নয়নে হাত দেওয়া হবে।

  • ২০১৮-২০৩০ পর্যন্ত রেলওয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে ৫০ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ জরুরি।

  • রেললাইন নির্মাণ ও কাজ শেষ করা, যাত্রী মালবাহী পরিষেবার উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রস্তাব।

  • গোটা দেশে ৬৫৭ কিলোমিটার মেট্রো রেলের লাইন নির্মিত হয়ে কর্মযোগ্য হয়েছে।