করুণাময় সিংহ, মানিকচক: স্কুল ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মালদার মানিকচকের সাহেবরাম টোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। গতবছর লকডাউনের সময় থেকেই বন্ধ স্কুল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেই সুযোগে প্রায় ৯ মাস ধরে এক ব্যক্তিকে স্কুলবাড়ি ভাড়া দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সেখানে রাখা হয়েছে গবাদি পশুদেরও।


যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের দাবি, ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। মানবিকতার খাতিরে একটি ঘর ওই পরিবারকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক। 


স্কুল চত্বরে খড়ের গাদা। একপাশে ডাঁই করে রাখা ইট। স্কুলের বারান্দায় ছাগল। চারদিক নোংরা, অপরিচ্ছন্ন। একটি ঘরে গুছিয়ে রাখা বাসনপত্র। দেখেই বোঝা যায় গৃহস্থের সংসার। পার্থক্য একটাই, গৃহস্থালির এই আয়োজন নিজের বাড়িতে নয়, স্কুলবাড়িতে। এই ছবি মালদার মানিকচকের সাহেবরামটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।


গ্রামবাসীদের অভিযোগ, লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে কয়েকমাস আগে স্কুলবাড়ি ভাড়া দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সেখানেই গবাদি পশুদের নিয়ে আস্ত সংসার ভাড়াটে লালমোহন মণ্ডলের। মানিকচকের বাসিন্দা ডালিম মণ্ডল বলেন, ৮-৯ মাস ধরে স্কুল ভাড়া দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। ভাড়াটে নিজে থাকেন। গবাদি পশুদেরও রাখা হয়েছে। স্কুল চত্বর নোংরা করে রেখেছে। স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছি।


স্কুলবাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ভাড়াটের স্ত্রী। ভাড়াটের স্ত্রী রিঙ্কু মণ্ডল বলেন, হেড মাস্টারের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে এখানে থাকছি। এদিকে খোদ ভাড়াঠের স্ত্রী এই দাবি করলেও স্কুলবাড়ি ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ মানছেনই না প্রধান শিক্ষক। উল্টে মানবিকতার তত্ত্ব খাড়া করে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। মানিকচকের সাহেবরামটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কনক সাহা বলেন, ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা নতুন বাড়ি তৈরি করছে। তাই মানবিকতার খাতিরে একটা ঘরে থাকতে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক।