পশ্চিম মেদিনীপুর: ছিন্নমূলের লোকেরা এখানে এসে বড়বড় কথা বলে গিয়েছে। অথচ গত বছর লোকসভা ভোটের পর এদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, সব নেতারা ফোন সুইচ অফ করে রেখেছিলেন। দাঁতনের সভায় বললেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে আসার আগে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছি, বিধায়ক পদ ছেড়েছি। আমি বিশ্বাসঘাতক? প্রশ্ন শুভেন্দুর।

বিজেপির সাড়ে ৩ কিলোমিটারের রোড শো-তে জনজোয়ারের ট্রেলার দেখছেন, সিনেমা এখনও বাকি আছে। বললেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলো রাজ্য আটকে দিয়েছে, নাম পাল্টে নিজেদের নামে চালাচ্ছে একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্প। আমি ভিতরে ছিলাম, সব দেখেছি, ঘেন্না ধরে গিয়েছে। তিনি বলেন, তৃণমূলের এক সাংসদ বলেছেন, মেদিনীপুরে বিশ্বাসঘাতক জন্মায়। মেদিনীপুরের মাটিতেই জন্মেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা। মেদিনীপুরকে যাঁরা বিশ্বাসঘাতক বলছেন তাঁরা একুশের ভোটে জবাব পাবেন।

তিনি বলেন, ২০০৩-এর পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল দল উঠে গিয়েছিল। ২০০৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির বদান্যতায় একটা আসন জেতে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে মন্ত্রিসভা, বিধায়ক পদ ছেড়েছি। আমার অধিকার আছে অন্য দলে রাজনীতি করার। ভোট এবার রাজ্য পুলিশ দিয়ে নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে, সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেছেন, কীভাবে ডায়মন্ডহারবারে জিতেছেন জানি, আমাকে ডাকবেন, ওখানে সভা করতে যাব।

শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল যুব কংগ্রেস, তৃণমূল যুবা, দুটোরই নেতা ভাইপো। আমি জিতলাম, পদের দায়িত্ব দেওয়া হল ভাইপোকে। সিপিএমের ছাড়া চটিতে পা গলিয়ে সাড়ে ৯ বছর সরকার চালাল, নাম না করে তিনি আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপি জিতবে, তৃণমূলকে উপড়ে ফেলতে হবে। বলেছেন শুভেন্দু।