ভুবনেশ্বর: বয়স ৬৪। কিন্তু ইচ্ছেশক্তির কাছে হার মানল জয় কিশোর প্রধানের বয়স। ডাক্তারি পড়ার জন্য এনট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাতে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তিও হয়ে গিয়েছেন। জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে ডাক্তারি পাশ করে নিখরচায় চিকিৎসা করতে চান মানুষের।
জেদ ছিল। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মেলবন্ধন করতে পারেননি। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে পড়েছিল। ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার হয়ে অবসর নেওয়ার পর অপূর্ণ ইচ্ছে পূরণের জন্য এনইইটি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছিলেন তাঁকে যেন মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই অনুমোদন মেলার পরেই পরীক্ষায় বসেন জয় কিশোর।
ওড়িশার বড়গড় জেলার আতাবিরা-য় স্টেট ব্যাঙ্কে ডেপুটি ম্যানেজার পদে ছিলেন তিনি। অবসর গ্রহণের পরে এনইইটি কর্তৃপক্ষকে তিনি লেখেন, ’’ ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর আমি মেডিক্যালের এন্ট্রান্স টেস্টে বসেছিলাম। কিন্তু অকৃতকার্য হই। পরে বিজ্ঞান শাখায় স্নাতক হয়েছিলাম। আরেকবার এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে চেয়েছিলাম। অবসর নেওয়ার পরে আমি পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে শুরু করি।‘‘
যদিও নিট পরীক্ষায় বসার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ বছর। কিন্তু একে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। ফলে নিট কর্তৃপক্ষ ২৫-এর ঊর্ধেব সকলকে পরীক্ষায় বসার অনুমোদন দেয়। বীর সুরেন্দ্র সাই ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ-এ ভর্তি হয়ে গিয়েছেন জয় কিশোর। প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর প্রফেসর ললিত মেহের বলেছেন, ’’ চিকিৎসাশাস্ত্রের শিক্ষায় এটি ইতিহাস।এই বয়সে শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর যোগদান নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য ঘটনা।‘‘
২০১৬ সালে জয় কিশোর প্রধানের মেয়ে মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষার বসার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। সে সময় মেয়েকে নানা বিষয়ে সহায়তা করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ওই ব্যাঙ্ককর্মী। তখনই তাঁর মনে হয় মেয়েকে যদি তিনি তৈরি করতে পারেন, তা হলে তিনিই বা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না কেন! সেই ভাবনা থেকেই নিজেও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পেশায় ফার্মাসিস্ট স্ত্রীও তাঁকে উৎসাহ দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁর বড় মেয়ে বিডিএস পাশ করে গিয়েছেন। ছোট মেয়ে বিডিএস পড়ছেন। জয় কিশোর প্রধানের ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ে।
মেডিক্যাল পড়া মানেই মোটা টাকা খরচ। সেটা জেনেও এগিয়েছেন। চাকরির বয়স পেরিয়েছে। কিন্তু জেদের কাছে বয়স যে তুচ্ছ! তাই মেডিক্যাল পড়া শেষ করে জীবনের অপূর্ণ সাধ পূরণ করতে চান। আর চান মানুষের সেবা করতে।
বয়স ৬৪! ব্যাঙ্ক অফিসারের চাকরিতে অবসরের পর ডাক্তার হওয়ার পড়াশোনা শুরু জয়কিশোরের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
27 Dec 2020 07:45 PM (IST)
ওড়িশার বড়গড় জেলার আতাবিরা-য় স্টেট ব্যাঙ্কে ডেপুটি ম্যানেজার পদে ছিলেন তিনি। অবসর গ্রহণের পরে এনইইটি কর্তৃপক্ষকে তিনি লেখেন, ’’ ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর আমি মেডিক্যালের এন্ট্রান্স টেস্টে বসেছিলাম। কিন্তু অকৃতকার্য হই। পরে বিজ্ঞান শাখায় স্নাতক হয়েছিলাম। আরেকবার এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে চেয়েছিলাম। অবসর নেওয়ার পরে আমি পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে শুরু করি।‘‘
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -