ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গেও আজ দুপুরে কথা বলবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুজনেই সিএএ সমর্থন করলেও নিজের রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। বিহার বিধানসভাতেও প্রস্তাব পাশ করে রাজ্যে এনআরসি-র দরকার নেই বলে জানানো হয়েছে। বিহারই প্রথম বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ চালিত রাজ্য যারা এনআরসি-র বিরোধিতা করছে, এনপিআর প্রক্রিয়া থেকেও বিতর্কিত অংশ বাদ দেওয়ার দাবি করছে। এনপিআরের বিতর্কিত শর্তগুলি বাদ দেওয়ার পক্ষপাতী নবীনের বিজেডি সরকারও।
ওড়িষা বিজেপির সভাপতি সমীর মোহান্তির দাবি, সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ, প্রতিবাদের জেরে বিজেপি ঠিক করেছিল, এই আইন নিয়ে সচেতনতা ছড়াতে অমিত শাহ সারা দেশে সভা করবেন বলে সিদ্ধান্ত হলেও আজকের সমাবেশ তার অঙ্গ নয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, যেমন ধর্মেন্দ্র প্রধান, বাবুল সুপ্রিয়, গিরিরাজ সিংহ, বিজেপি সাংসদ রূপা গাঙ্গুলিরা ইতিমধ্যেই কটক, বেহরামপুর, সম্বলপুর, জপুর সহ ওড়িষার নানা জায়গায় জনসভা করেছেন সিএএ-র সমর্থনে। ট
ওড়িষার বিজেপি কর্মীরা সিএএ পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টকার্ডও পাঠিয়েছেন। মহান্তি বুধবার আজকের অমিত শাহের সভার প্রচারে প্রচার যানও পাঠিয়েছেন গোটা রাজ্যে।
রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র গোলক মহাপাত্রের দাবি, কংগ্রেস ও কিছু রাজনৈতিক দল সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে, শুক্রবারের অমিত শাহের সভার উদ্দেশ্য, বিভ্রান্তি দূর করা, প্রচার করা যে, জাতীয় স্বার্থই পূরণ করবে এই আইন।
যদিও কংগ্রেসের কটাক্ষ, সিএএ নিয়ে প্রচার না করে আগে অমিত শাহ দিল্লির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন।