নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধীকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) ইস্যুতে লাগাতার নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সহ বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করছেন রাহুল সহ কংগ্রেসের তাবড় নেতারা। এই প্রথম ভারতের আইনে নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য ধর্মকে মাপকাঠি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এতে সংখ্যালঘু, মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বললেন, কংগ্রেস ও তার দলবল এই বলে গুজব ছড়াচ্ছে যে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংখ্যালঘু, মুসলিমদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে। রাহুল বাবাকে চ্যালেঞ্জ করছি, ওই আইনের এমন একটাও ধারা দেখান যাতে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের শান্তি নষ্ট ও মানুষকে ভুল পথে চালিত করবেন না।
হিমাচল প্রদেশে বিজেপি সরকারের দুবছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সিমলায় আয়োজিত জনসভায় শাহ কেন্দ্রের পূর্বতন কংগ্রেস-ইউপিএ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেও বলেন, কংগ্রেস সরকার ১০ বছর ছিল। সনিয়া-মনমোহনজির সরকার দেশ চালিয়েছে। তখন প্রতিদিন পাকিস্তান থেকে আলিয়া-মালিয়া-জামালিয়া চুপিচুপি ভারতে ঢুকে আমাদের জওয়ানদের মাথা কেটে নিয়ে যেত, কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে একটি শব্দও বেরত না! সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার, সামরিক বাহিনীতে এক পদ, এক পেনশন সমেত তাঁদের সরকার কী কী করেছে, তারও ফিরিস্তি দেন শাহ। সেইসঙ্গে ৬ বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু এমনকী আমাদের শত্রুরাও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একটাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারবে না, অথচ কংগ্রেস শাসনে আকছার ‘দুর্নীতি’ শব্দটা ব্যবহার করা হত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


রাহুল গতকাল ট্যুইট করেছিলেন, রামলীলা ময়দানের সাম্প্রতিক জনসভায় দেওয়া ভাষণে অসমে কেন, দেশের কোথাও একটিও ডিটেনশন সেন্টার নেই বলে দাবি করে দেশবাসীকে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাল্টা এজন্য রাহুলকে তোপ দেগে এককালে কংগ্রেসে থাকা, এখন বিজেপির জনপ্রতিনিধি জগদম্বিকা পাল বলেছেন, রাহুল গাঁধী মিথ্যাচার করছেন। মিথ্যা বলে পরে ক্ষমা চাওয়া ওঁর স্বভাব। আগেও এরকম অনেকবার হয়েছে। মনে হয়, উনি জানেন না যে, ইউপিএ আমলে অসমে তিনটি বন্দি শিবির ছিল। শুধুমাত্র অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদেরই ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয় বলেও সওয়াল করেন জগদম্বিকা। রাহুল ট্যুইটে নরেন্দ্র মোদিকে ‘আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করার জন্যও এই বিজেপি এমপি বলেন, কংগ্রেস নেতার লজ্জা পাওয়া উচিত। জগদম্বিকা বলেন, দেশবাসী ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে ২৮৩টা আসন দিয়েছে। ৫ বছরের সুশাসনের পর ২০১৯-এ ৩০০-র বেশি আসন পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তারপর তিনি দেশের না আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী?