নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর কপালে। সিএপিএফের শারীরিক সুস্থতাই এখন সরকারের মূল চিন্তা, বললেন অমিত।


তাঁদের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, জানানো হল মন্ত্রকের তরফে।

শুক্রবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন শাখার ডিরেক্টর জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠক সারেন অমিত শাহ। হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরাও। অংশ নেন বিএসএফ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি, এনএসজির শীর্ষ আধিকারিকরা।

বৈঠকে অমিত শাহ বলেন, সরকার শুধু করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ নিয়ে ভাবছে না, সিএপিএফের প্রত্যেকের শরীরস্বাস্থ্য, সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা নিয়েও সমান চিন্তিত।

তিনি বাহিনীর সদস্যদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে খবর নেওয়ার পাশাপাশি মনে করিয়ে দেন, করোনা রোগীদের বেশিরভাগই কিন্তু উপসর্গহীন। তাই সতর্ক থাকতে হবে। এখনও অবধি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৫৩০ জনের করোনা ধরা পড়েছে। বিএসএফ ও সিআইএসএফের ২ জন করে ও সিআরপিএফের ১ জন জওয়ানের প্রাণ গিয়েছে।

বিএসএফেই ২২৩ জন সংক্রমিত। অন্যান্য বাহিনীতেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার।
জওয়ানদের মেসে থাকার ব্যবস্থায় রদবদল, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, ব্যারাকে বিভিন্ন সুবিধাপ্রদান, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ ট্রেনিং, পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, স্যানিটাইজেশন ইত্যাদি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তাছাড়া আয়ূষ মন্ত্রকের পরামর্শ মেনে বাহিনীর সকলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।

তাছাড়া করোনায় মৃতদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও গুরুত্ব পায় মন্ত্রকের বৈঠকে। করোনা-মৃতদের পরিবার যেন ইনস্যুরেন্স ও ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রুত পান, সে-বিষয়টির দিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয় প্রধানদের।