শান্তিনিকেতন: ছবি বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বভারতীতে বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করলেন কেন্দ্রীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে কাটআউটে অমিত শাহর নীচে রবীন্দ্রনাথের ছবির প্রতিবাদে জোড়াসাঁকোয় অবস্থান বিক্ষোভ করল তৃণমূল। এদিন শাহের সফরের প্রতিবাদে সোনাঝুরির হাটে বিক্ষোভ রবীন্দ্র অনুরাগীদের।


শান্তিনিকেতনে কাটআউটে অমিত শাহর নীচে বিশ্বকবির ছবি। ৪৮ ঘণ্টা আগে রবিতীর্থে এই কাটআউট ঘিরে তুমুল বিতর্ক হয়। রবিবার সেই শান্তিনিকেতেনই একাধিক কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। রবিতীর্থে কাটল দিনের অনেকটা অংশ। দিনের শুরুটা হল রবীন্দ্র ভবন দিয়ে। রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। ঘোরেন উপাসনা গৃহে। সঙ্গীত ভবনে অমিত শাহরে জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। পরে বাংলাদেশ ভবনেও যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “আমি মনে করি গুরুদেবকে পুরস্কার দিয়ে আসলে নিজেকে সম্মানিত করেছে নোবেল, উনি সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ওঠেন, তাঁর সাহিত্য গোটা দেশকে সমৃদ্ধ করেছে মাথা উঁচু হয়েছে দেশের।“

রবিতীর্থে যখন নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত অমিত শাহ, তখন তাঁর সফরের বিরোধিতা শান্তিনিকেতনেই। সোনাঝুরি হাটে চলল প্রতিবাদ। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ দেখান রবীন্দ্র অনুরাগীরা। পাশাপাশি কাটআউটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবির নীচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি থাকার প্রতিবাদে এদিন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে প্রতিবাদ-অবস্থানে বসেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। গান, আবৃত্তি, কবিতার মাধ্যমে জানানো হয় প্রতিবাদ। উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শশী পাঁজা।

রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা বলেন, বিজেপি রবীন্দ্রনাথ অপমান করেছে, আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। গত বছর কলকাতায় অমিত শাহের রোড শো চলাকালীন ভাঙচুর হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি। সেই প্রসঙ্গ টেনে বাংলার মণীষীদের প্রতি বিজেপি নেতৃত্বের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, কখনও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে , এখন রবি ঠাকুরকে ছোট করার চেষ্টা হচ্ছে, বিশ্বকবিকে বাইরের লোক এসে ছোট করবেন আমরা তা বরদাস্ত করব না।