বেজিং: এবার নয়া পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ শুরু করল চিন। মলদ্বার থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে সেদেশের স্বাস্থ্য দফতর।  ভাইরাসের নতুন ওয়েভ ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে চিনে। তাই এই পদ্ধতিতে গণ পরীক্ষা শুরু করেছে। যদিও সারা বিশ্বে এখনও লালারসের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না তা দেখা হয়। বর্তমানে নতুন পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে।

যদিও এই পদ্ধতি ব্যবহার নিয়ে এখনও কোনও নীতি নেই। চিনের উত্তর প্রান্তে ১৭০০ জনের নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। কীভাবে নতুন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়? জানা গিয়েছে, মলদ্বারের ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটারের মধ্যে সুতো প্রবেশ করিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতির প্রশংসা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এটা সঠিক পদ্ধতি।

উল্লেখ্য, এর আগে চিন জানিয়েছিল করোনামুক্ত হয়েছে সেদেশ। কিন্তু এরইমধ্যে হানা দিয়েছে ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। ৯ বছর বয়সী এক শিশুর শরীরে নতুন করে সংক্রমণ হয়। জানা গিয়েছে, নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছে সে। সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেকের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।  চিনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গলা এবং নাক থেকে সোয়াব নমুনাগুলি সংগ্রহের থেকে মলদ্বার থেকে নমুনা সংগ্রহ করা কঠিন। কোয়ারান্টিনে আছেন বা যারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়। ভুল পদ্ধতিতে রিপোর্ট পজিটিভ আসার হার কমবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না তা জানতে গত বছর থেকে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু করেছে চিন। সাংঘাইয়ের হটস্পটগুলিতে এইভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এটা তুলনামূলকভাবে সহজ পদ্ধতি।