কলকাতা: গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সিপলা লিমিটেড করোনা প্রতিষেধক হিসেবে যে দুটি অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ বাজারে এনেছে, তা স্বল্প সময়ের জন্য সংস্থাদুটির পক্ষে লাভদায়ক হতে পারে। কিন্তু প্রতিযোগিতা বেড়ে গেলে ওষুধদুটির বাজারে টিকে থাকা মুশকিল। মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সামান্য বা মাঝারি করোনার ওষুধ হিসেবে পরিচিত ফাভিপিরাভিরের জেনেরিক ওষুধ তৈরি ও তা ভারতের বাজারে বিক্রির অনুমতি পেয়েছে গ্লেনমার্ক। ৩৪টি ট্যাবলেটের একটি প্যাকেটের দাম পড়বে ৩,৫০০ টাকা।


সিপলা আবার নিয়ে এসেছে রেমডেসিভির ওষুধের জেনেরিক, সিপ্রেমি ব্র্যান্ড নেমে। যে রোগীরা করোনায় ভালরকম ভুগছেন এটি তাঁদের ওষুধ। এ মাসের শুরুতে গিলিড কোম্পানির রেমডেসিভির ওষুধটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফাভিপিরাভিরের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্লেনমার্কের শেয়ারের দাম সোমবার ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে, সিপলার শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ৯.৫ শতাংশ। যদিও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই লাভ স্বল্প সময়ের জন্য, করোনার ওষুধের বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়ে গেলেই গ্লেনমার্ক, সিপলার আধিপত্য কমে যাবে।

প্রভুদাস লীলাধরের ফার্মা অ্যানালিস্ট সুরজিৎ পাল জানিয়েছেন এ কথা। তিনি বলেছেন, হেটেরো, ক্যাডিলা, জুবিল্যান্ট লাইফসায়েন্সেস, স্ট্রাইডস ফার্মার মত ৬টি সংস্থা রেমডেসিভির তৈরি করছে। গ্লেনমার্কের পাশাপাশি ফাভিপিরাভিরও তৈরি করছে আরও ২-৩টি সংস্থা। সকলে চলে আসলে সিপলা, গ্লেনমার্কের হাত থেকে বাজারের দখল বেরিয়ে যাবে। নির্মল ব্যাং সিকিউরিটিজের অ্যানালিস্ট বিশাল মানচন্দাও মেনে নিয়েছেন, বাজারে আরও অংশীদার চলে এলে গ্লেনমার্ক, সিপলার শেয়ারের দাম আর এখনকার মত বাড়বে না। হয়তো সম্পূর্ণ নতুন ওষুধও চলে আসবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে আরও।

গোটা বিশ্বের চিকিৎসক ও ওষুধ কোম্পানিগুলি এখন করোনার ওষুধ তৈরির চেষ্টায় ইঁদুর দৌড়ে নেমেছে। কিন্তু ঠিকমত ওষুধ এখনও কেউ বার করতে পারেনি। করোনায় এখনও পর্যন্ত ৪৬০,০০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ভারতেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৪,০০০-এর কাছাকাছি করোনা আক্রান্ত।