বেজিং: চিনের দক্ষিণ পশ্চিম ইউলিন শহরে শুরু হয়ে গেল বার্ষিক ১০ দিনের কুকুরের মাংসের উৎসব। হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন এই উৎসবে, খাঁচায় আটকানো কুকুর কিনে বাড়ি নিয়ে যান, কেটে কুটে রান্নার জন্য। তবে পশুপ্রেমীদের দাবি, কুকুরের সংখ্যা এবার কমেছে।


পশুপ্রেমীদের আশা, এ বছরের পর বন্ধ হবে কুকুর মাংসের উৎসব। বন্য প্রাণী ব্যবসা এবং খেয়ে ফেলা রুখতে নানা আইন আনছে প্রশাসন। পোষা প্রাণীদের রক্ষাতেও আইন আসছে।  জীবজন্তুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা হিউমেন সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের চিনা নীতি বিশেষজ্ঞ পিটার লি বলেছেন, তাঁর আশা, শুধু প্রাণীদের কথা ভেবে নয়, শহরের মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কথা মাথায় রেখেও ইউলিন শহর এমন উৎসব করা থেকে নিজেকে ভবিষ্যতে বিরত রাখবে। কারণ এইভাবে কুকুর ও কুকুর মাংসের কেনাকাটার জন্য স্থানীয় বাজার ও রেস্তোঁরাগুলিতে যেমন ভিড়ভাট্টা হচ্ছে তা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে চিনের ইউহান শহর থেকে, মনে করা হয় বাদুড় থেকে মানব শরীরে সংক্রমিত হয় এই রোগ। এরপরই বাদুড়, সাপ, প্যাঙ্গোলিন, গিরগিটির মত জীবজন্তু খাওয়া নিয়ে একটু সংযত হওয়ার কথা ভাবছে চিন, বন্য প্রাণী ব্যবসা বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর আগে এপ্রিলে শেনজেন শহরে কুকুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ হয়। তারাই চিনের প্রথম শহর যারা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল।

চিনের কৃষি মন্ত্রক ঠিক করেছে কুকুরকে এবার থেকে খাবারের বদলে পোষ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তারা, যদিও এর ফলে ইউলিনে কুকুর মাংসের মেলা বসা কীভাবে বন্ধ হবে তা পরিষ্কার নয়। পশুপ্রেমীরাও মেনে নিচ্ছেন, কুকুরের মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা বসলেই তা খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে এমন নয়, এ জন্য সময় লাগবে।