নয়াদিল্লি: ভারতজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতেই সামনে আসে দিল্লিতে নিজামুদ্দিনে তবলিঘ-ই-জামাতের সমাবেশের কথা ও সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবর। এই বিষয়টি বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় দায়িত্ব নিয়ে তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। এরপরই সমাজের একাংশের ক্ষোভ উপচে পড়ছে সাংবাদিক ও সংবাদ পরিবেশকদের উপর, এমনটাই দাবি নিউজ ব্রডকাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যে শুধু তাঁদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক প্রচার হচ্ছে এমনটাই নয়, রীতিমতো হু্মকিও দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।
তবলিঘ-ই-জামাতের সম্মেলনের থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রচার করায় হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, টুইটারের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের টার্গেট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনবিএ। এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে এক শ্রেণীর ধর্মগুরু ক্রমাগত এঁদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক প্রচার চালাচ্ছে, বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কয়েকটি চ্যানেল ও সাংবাদিকদের নাম উদ্ধৃত করেই চালানো হচ্ছে প্রচার।
এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে এনবিএ সরকারকে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে।
এনবিএ-র তরফে এই সব ধর্মীয় নেতাদের আর্জি জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন খোলাখুলি এভাবে হুমকি দেওয়া বন্ধ করেন। এই ধরনের কাজ সংবিধান পরিপন্থী। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকেরই বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। এই ধরনের হুমকি সেই সাংবিধানিক অধিকারকেই বাধা দান করে বলে, জানিয়েছে এনবিএ।