বেঙ্গালুরু: নদীগর্ভ থেকে উঠে এল বিষ্ণুমূর্তি এবং শিবলিঙ্গ। তেলঙ্গানা-কর্নাটক সীমানায় অবস্থিত রাইচূড়ে নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল। সেই সময়ই নদীগর্ভ থেকে বেশ কয়েক শতক পুরনো ওই বিষ্ণুমূর্তি এবং শিবলিঙ্গটি উঠে আসে। উদ্ধার হওয়া বিষ্ণুমূর্তি এবং শিবলিঙ্গটি খুব কম করে হলেও ১০০০ বছর পুরনো বলে জানা গিয়েছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) হাতে সেগুলি হস্তান্তর করা হয়েছে। (Ancient Vishnu Idol)


কর্নাটক সীমানাবর্তী রাইচূড় জেলার দেবসাগর গ্রাম সংলগ্ন কৃষ্ণা নদীতে সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে খননকার্য চলছিল। খননকার্য চলাকালীন নদীগর্ভে কিছু একটিতে ধাক্কা লাগে। জলের নিচে ঠিক রয়েছে দেখতে কৌতূহলী হয়ে পড়েন সকলে। সেই মতো ওই বস্তু তুলে আনার কাজ শুরু হয়, তাতেই নদীগর্ভ থেকে ওই বিষ্ণুমূর্তি এবং শিবলিঙ্গটি উঠে আসে। (Shivling Recovered from River)


নদীগর্ভ থেকে মূর্তি উঠে আসায় বাকরুদ্ধ হয়ে যান নির্মাণ শ্রমিকরা। স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে খবর যায় ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে। নদীগর্ভ থেকে তুলে আনা ওই মূর্তি এবং শিবলিঙ্গ শেষ পর্যন্ত ASI-এর হাতেই তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে, সেগুলি ১০০০ বছর পুরনো বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিশদ তথ্য সামনে আনা হবে। 


আরও পড়ুন: Jaya Bachchan: ‘স্কুলে পড়া শিশু নই, সম্মানটুকু দিন’, রাজ্যসভায় ধনকড়ের উদ্দেশে জয়া


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নদীগর্ভ থেকে উঠে আসা মূর্তিটি ভগবান বিষ্ণুর। অন্যটি একটি শিবলিঙ্গ। তবে উদ্ধার হওয়া বিষ্ণুমূর্তিটির সঙ্গে অতি সম্প্রতি অযোধ্যায় স্থাপিত 'রামলালা' অর্থাৎ ভগবান রামচন্দ্রের শিশুকালের মূর্তিটির বেশ মিল রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তাই নদীগর্ভ থেকে মূর্তি উদ্ধারের খবরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকাতেও। মূর্তি এবং শিবলিঙ্গটি দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান এলাকায়। 


প্রাচীন ভারতের ইতিহাস এবং প্রত্নত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পদ্মজা দেসাই সংবাদমাধ্যমে বললেন, "মূর্তিটির বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি বেদির উপর সেটি খোদাই করা হয়েছে, তাতে ঘিরে যেন বিরাজ করছে আলোর বলয়। মূর্তিটিতে ভগবান বিষ্ণুর দশাবতার, মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ এবং কল্কি অবতার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।" ওই মূর্তি এবং শিবলিঙ্গটি নিয়ে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে, বিশদ তথ্য উঠে আসবে বলে আশাবাদী গবেষকরা।