চলতি মাসে এর আগে ফ্রান্স ১৮৩ জন পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা প্রত্যাহার করে, যাঁদের মধ্যে ছিলেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রাক্তন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাসার আত্মীয়স্বজনও। পাকিস্তান সহ ইসলামি দেশগুলির ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাকে মাথা নত করবে না, এটা বুঝিয়ে দিতেই ফ্রান্সের ওই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছিল। তাছাড়া ১১৮ জন পাকিস্তানিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও ঘোষণা করে ফ্রান্স। ইমরানের ফ্রান্স-বিরোধী হুঙ্কারের সঙ্গে এর প্রত্যক্ষ যোগ আছে বলে জানায় পর্যবেক্ষক মহল। একটি সূত্রের খবর, ফ্রান্স কাতারকেও বলে দিয়েছে, তারা যেন বিমানের ব্যাপারে পাকিস্তানি-বংশোদ্ভূত প্রযুক্তিবিদদের কাজ করার অনুমতি না দেয়। মিরাজ বিমান সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় এহেন পদক্ষেপ ফ্রান্সের। যেসব দেশ রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছে, কাতার তাদের অন্যতম।
গত মাসেই মাক্রঁ ইসলামি মৌলবাদীর হাতে নিহত হওয়া ফরাসি ইতিহাস শিক্ষক স্যামুয়েল পেটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পয়গম্বর মহম্মদের কার্টুন প্রদর্শন সমর্থন করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। ক্লাসে পড়ানোর সময় মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র দেখানোর জন্যই পেটিকে গলা কেটে খুন করেছিল ইসলামি মৌলবাদী যুবক। মাক্রঁ পেটিকে হিরো আখ্যা দিয়ে বলেন, কট্টরপন্থী ইসলামিরা দেশের সামনে বিপদ।
পাল্টা মাক্রঁর নিন্দা করে ইমরান অভিযোগ করেন, মহম্মদের কার্টুন প্রদর্শনে উত্সাহ দিয়ে তিনি ইসলামকে আক্রমণ করছেন। মুসলিমদের কাছে মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ ধর্মদ্রোহিতার সমান।
ফ্রান্স সাম্প্রতিক বছরগুলিতে একাধিক কট্টরপন্থী মৌলবাদী হামলার শিকার হয়েছে। ২০১৫ সালে মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র ছাপায় কার্টুন পত্রিকা শার্লি এবদোর দপ্তরে ভয়াবহ আক্রমণ হয়।