নয়া দিল্লি: ভূমিকম্পের (Earthquake) আতঙ্ক এখনও কাটেনি। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসস্তুপ। শবদেহ উদ্ধারকার্য এখনও চলছে। এরই মধ্যে ফের ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল তুরস্ক (Turkey)। 


জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) দক্ষিণ তুরস্কের এসিলওয়ার্টে ৫.৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।  সোমবার বিকেলের ভয়াবহ কম্পনের জেরে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করে। ফলে ওই এলাকায় আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


প্রসঙ্গত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ কম্পনের জেরে মৃত্যুর সংথ্যা ৪০ হাজার পেরিয়েছে।  এখনও কত মানুষ ধ্বংসাবশেষের নীচে রয়েছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।  তারমধ্যেই ফের কেঁপে উঠল তুরস্ক।


স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানাচ্ছে, সোমবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মালতয়া প্রদেশের ইয়েসিল্টার শহরে। নতুন করে কম্পনকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন, ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ডে ফের গেরুয়া-ঝড়, মেঘালয়ে কঠিন লড়াই; কী বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা?


এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ফের কেঁপে উঠেছিল তুরস্কের মাটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী রাত ১ টা ১০ নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.১। তুরস্ক ও সিরিয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের। তারপর থেকে লাগাতার কম্পনের মুখে পড়ছে তুরস্ক। রবিবার, সেখানে ত্রাণ পরিস্থিতি দেখতে যাবেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।


প্রসঙ্গত, গত তিন সপ্তাহে অন্তত তিনটি বড়সড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। যার প্রভাব পড়েছে সিরিয়াতেও। শুধু তাই নয়, পাঁচ থেকে ছয় মাত্রার অন্তত ৪৫ টি আফটার শক সে রাজ্যে আছড়ে পড়ে বলেও জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। এই অবস্থায় আশঙ্কা আরও বাড়ছে। পরিস্থিতি যা তাতে আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পের সাক্ষী থাকতে পারে সে দেশের মানুষ।  


ভয়াবহতার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল ফের ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছে তুরস্ক (Turkey)। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বহু প্রাণহানি হয়েছে। জখমের সংখ্যাও প্রচুর। সবকিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত অবস্থা হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ভূমিকম্পে ধ্বংসপুরী পার্শ্ববর্তী সিরিয়াও। এই পরিস্থিতিতে ভারতেও বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা। আশঙ্কা প্রকাশ করল ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট। হিমালয় রিজিওনে হতে পারে ভূমিকম্প, যার প্রভাব পড়বে উত্তরাখণ্ড ও নেপালে। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন NGRI-এর প্রধান বিজ্ঞানী পূর্ণচন্দ্র রাও। তবে, তাঁর সংযোজন, আবাসনের ভিত মজবুত হলে সম্পত্তিহানি ও প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো যাবে।