পারাদ্বীপ: পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের ভিড়ের জন্যই এতদিন ছিল পরিচিতি (Russian Deaths in Odisha)। কিন্তু এ বার আন্তর্জাতিক ‘অপরাধে’র সঙ্গে আক্ষরিক অর্থেই জুড়ে গেল ওড়িশার (Odisha News) নাম। কারণ মাত্র দুই সপ্তাহে সেখান থেকে তৃতীয় রুশ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। পর পর এই ঘটনায় ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।


দুই সপ্তাহে তৃতীয় রুশ নাগরিকের মৃত্যু ওড়িশায়


মঙ্গলবার ওড়িশার পারাদ্বীপে (Paradeep Russian Death) আরও এক রাশিয়ার নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে মিলিয়াকভ সেরগেই বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। জগৎসিংহপুরের পারাদ্বীপ বন্দরে নোঙর বাঁধা এক জাহাজ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পর পর এমন তৃতীয় ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫১ বছর বয়সি সেরগেই ‘এমবি আলদনাহ’ জাহাদের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।  মুম্বই থেকে পারাদ্বীপ হয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) চিটাগং যাচ্ছিল জাহাজটি। মঙ্গলবার ভোর ৪টে বেজে ৩০ মিনিট নাগাদ জাহাজে সেরগেইয়ের জন্য বরাদ্দ চেম্বার থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে, এখনও পর্যন্ত তা অস্পষ্ট।


আরও পড়ুন: Viral: কন্যাসন্তানের জন্ম হলেই ১১১টি গাছ রোপণ, মেয়েদেরকে মাথায় তুলে রাখে দেশের এই গ্রামটি


রুশ নাগরিকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পারাদ্বীপ পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পিএল হারানন্দ। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাশিয়ার নাগরিক, রুশ সাংসদ, ৬৫ বছর বয়সি পাভেল আন্টভের দেহ উদ্ধার হয় ওড়িশার একটি হোটেল থেকে। তারও আগে ২২ ডিসেম্বর পাভেলের বন্ধু, ৬১ বছর বয়সি ভ্লাদিমির বিদেনভের দেহ উদ্ধার হয়। ওড়িশা পুলিশ খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে।


মৃতরা পুতিন সমালোচক হওয়ায় রহস্য দানা বাঁধছে


তবে পর পর, বেছে বেছে রুশ নাগরিকদের এমন রহস্যমৃত্যুকে সাধারণ অপরাধ হিসেবে দেখতে নারাজ অনেকেই। কারণ পাভেল এবং ভ্লাদিমির, দু’জনেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ বাধানোর বিরুদ্ধে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, ভুবনেশ্বর স্টেশনে আরও এর রুশ নাগরিকের দেখা মেলে। ‘আমি রুশ শরণার্থী, আমি যুদ্ধবিরোধী, আমি পুতিনবিরোধী, আশ্রহীন, দয়া করে সাহায্য করুন’, লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।