নয়াদিল্লি: সারা দেশ সহ বিশ্বে মিসাইল ম্যান বলেই পরিচিত তিনি। একদিকে তিনি ছিলেন বিজ্ঞানী, তার পাশাপাশি ছিলেন একজন লেখক এবং সমাজবিদ। একাধিক কাজের মধ্যে দিয়ে রেখে গিয়েছেন অবদান। নিজের কাজের মধ্যে দিয়েই পেয়েছেন সাফল্য। জীবদ্দশায় সম্মান হিসেবে পেয়েছেন একাধিক পুরষ্কারও। তিনি ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। আজ তাঁর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। 


তবে এই সাফল্যের কাহিনী যতটা সহজ, ততটাই কঠিন ছিল এই সাফল্য অর্জনের পথ। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর জন্ম হয় তামিলনাড়ুতে। স্কুল জীবন থেকে বায়ুসেনার বিমানের পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। রামনাথপুরম স্কোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুলে লেখাপড়া করতেন তিনি। জানা যায়, সাধারণ মানের ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু লেখাপড়ায় আগ্রহ ছিল বরাবরই। আর্থিক পরিস্থিতি ভাল না হওয়ায় কাগজ বিক্রি করেই সংসার চালাতেন। স্কুল জীবন শেষে ১৯৫৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক কোর্সে ভর্তি হন তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ কলেজে। এরপর মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিমানপ্রযুক্তি নিয়ে লেখাপড়া করেন।


কর্মজীবন শুরু ডিআরডিও-তে। ডিআরডিও-র হভারক্রাফ্ট প্রকল্প পরিচালনা করেন তিনি। ১৯৬২ সালে যোগ দেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোতে। আর এরপরই তাঁর সাফল্যের যাত্রা পথ শুরু। রোহিনী তথা SLV3 উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপন করেন। সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেন। জানা যায়, ইসরোয় তাঁর কাজ দেখে নাসাতেও যোগ দেওয়ার সুযোগ এসেছিল। বিজ্ঞানী রাজা রামান্নার সঙ্গে যৌথভাবে ভারতের প্রথম পারমানবিক ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি করেন।


এপিজে আবদুল কালামের নেতৃত্বেই ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পোখরানে  ভারত দ্বিতীয়বারের জন্য পরমাণু বোমার সফলভাবে পরীক্ষা হয়। আর তার জেরেই তাঁর সাফল্যের মুকুটে যোগ হয় আরও একটি পালক। দেশের  সফল পরমাণু বিজ্ঞানী হন তিনি । ২০০২ সালে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। অগ্নি এবং পৃথ্বীর মতো মিসাইল তৈরির তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। এই কাজে তাঁর সাফল্যের জন্যই সারা দেশ সহ বিশ্বে মিসাইল ম্যান বলে পরিচিত এপিজে আবদুল কালাম।