রানা দাস, কালনা: ধাপে ধাপে অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে টাকা। পাস বই আপডেট করাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ কালনার বাসিন্দার। অভিযোগ, সাত মাসে ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়েছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। এই অভিযোগ মন্তেশ্বর থানার দ্বারস্থ হলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাঘাসনের বাসিন্দা বুদ্ধেশ্বর মান্ডি। শুশুনিয়া রানিবালা বিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর মান্ডি। তাঁর অভিযোগ, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে একাধিকবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।  


দিন সাতেক আগে ব্যাঙ্কের পাস বই আপডেট করতে গিয়ে মাথায় হাত শিক্ষকের। তিনি জানতে পারেন ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা শুরু হয়। সাত মাসে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে মোট পাঁচ লক্ষ ৫১ হাজার টাকার বেশি কাটা হয়েছে। স্কুল শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর মান্ডির অভিযোগ, তার অজান্তেই এই টাকা কাটা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, কোনও এক অ্যাপ থেকে তাঁর ফোনে ছয় ডিজিটের ওটিপি আসে। তারপর থেকেই টাকা কাটা শুরু হয়। ব্যাঙ্ক ডিটেলস থেকে তিনি জানতে পারেন বিভিন্ন সময়ে অনলাইনে এই টাকা থেকে কেনাকাটা করা হয়েছে। তিনি জানান বিভিন্ন জায়গাতে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি কালনার মন্তেশ্বর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। এবিষয়ে বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানিয়েছেন,একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। কারা এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত এবিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।


রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয়ে কেওয়াইসি আপডেটের নামে ৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়। আসানসোল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের এক যুবককে। সম্প্রতি এমনই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বাগুইআটির বাসিন্দা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী নামে এই ব্যক্তি। রমাপ্রসাদ চক্রবর্তীর দাবি, গত ২৪ মে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেন। বলা হয়, KYC আপডেট করতে। তাঁর অভিযোগ, KYC আপডেটের নামে ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ডের নম্বর ও ফোনে আসা OTP-ও জেনে নেয় অভিযুক্ত। আর এর পরই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। শেষে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত ওই ব্যক্তি।