জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তৃণমূলকর্মী দাদার বেধড়ক মারধরে বিজেপি কর্মী ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের কোস্টাল থানা এলাকার মাঝেরগ্রামে। সমরেশ কাকদ্বীপের হারুডপয়েন্ট কোস্টাল থানার দশ নম্বর নাগেরমহলের বাসিন্দা। বিজেপির দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বাড়ি ছাড়া ছিলেন তিনি। গত ২০ জুলাই তিনি কাকদ্বীপের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি।


অভিযোগ, সেই সময়ে সমরেশের তৃণমূল কর্মী দাদা তাঁর দলের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ভাইয়ের ওপর চড়াও হয়। রাস্তায় ফেলে প্রচণ্ড মারধর করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে। বাকি তৃণমূল কর্মী সংর্থকদের হাতেও আক্রান্ত হন বিজেপি সমর্থক সমরেশ পাল। 


জানা গিয়েছে, সমরেশের বড় দাদা অনিমেষ পাল, প্রতিবেশী উত্তম সাউ, অনাদি গায়েনসহ বেশ কয়েকজন এসে সমরেশকে ধরে বেধড়ক মারধর করে। কংক্রিটের রাস্তায় ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। মাথার পেছনের দিকটা ফেটে যায় সমরেশের। দীর্ঘক্ষণ অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তাতেই পড়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে সমরেশের এক দিদি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এর পর মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরিয়ে শেষপর্যন্ত কলকাতার এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। 


রবিবার ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশি টানাপোড়েনের জেরে দেহ পেতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে এদিন। সোমবার দেহ পৌঁছনর কথা থাকলেও, আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁর দেহ ফেরে গ্রামে। ইতিমধ্যেই পুলিশ মৃত সমরেশের দাদাকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। 


উল্লেখ্য, ইতিমধ্য়েই মৃত সমরেশের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় তার জন্য সমরেশের বাড়ি এবং আশেপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমরেশের মৃত্যু ঘিরে দুই দলের মধ্যে কোনও রকম উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় তাতেই এই সতর্কতা।