নয়াদিল্লি: জোর যুদ্ধ বেঁধেছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। গত দুমাস ধরে বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।


এই পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে কলম ছেড়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকল পাশিনিয়াঁর স্ত্রী আনা হাকোবিয়াঁ। সাধারণ সৈনিকদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের হয়ে যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে কমব্যাট প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন আনা।


পেশায় সংবাদপত্রের সম্পাদক ৪২ বছরের আনা সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, আমাকে নিয়ে ১৩ জন মহিলার একটি দল সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করছি। কয়েকদিনের মধ্যেই সুরক্ষায় সেনাকে সহায়তা করতে আমরা সীমান্তে পাড়ি দেব। না আমরা আমাদের মাতৃভূমি না সম্মান-- কোনওটাই শত্রুর কাছে সমর্পণ করব।


এই প্রথম নয়। এর আগে গত অগাস্ট মাসেও একবার অন্য মহিলাদের সঙ্গে কমব্যাট প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন আনা। সাতদিনের ওই প্রশিক্ষণে শারীরিক ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ হয়েছিল। ফলে, এটা হচ্ছে তাঁর দ্বিতীয় সামরিক প্রশিক্ষণ।


১৯৯০ সালে বাকু থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর্মেনীয় অধ্যুষিত আজারবাইজানের পার্বত্য কারাবাখ প্রদেশের দখল নিয়ে দুদেশের মধ্যে তীব্র দীর্ঘমেয়াদী সংঘর্ষ চলছে। এই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।


গত ২৭ সেপ্টেম্বর, কারাবাখে প্রচণ্ড গোলাগুলির বিনিময় শুরু হয়। শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।


১৯৯৪ সাল থেকে কারাবাখ ছিল আর্মেনিয়ার দখলে। কিন্তু, সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বিপুল ক্ষতি হয়েছে তাদের। আজারবাইজানের কিছু এলাকা থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয় আর্মেনিয়া।


পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গম্ভীর উল্লেখ করে আনা সকল দেশবাসীকে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার আহ্বান করেছেন আনা। এমনকী, তাঁর ২০ বছরের ছেলে অ্যাশটও যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেকে নথিভুক্ত করেছেন।