নয়াদিল্লি: জম্মু কাশ্মীরের সোপিয়ানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল ৩ জঙ্গির। সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে আরও এক জঙ্গি। কিনিগামে ৩-৪ জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পেয়ে গতকাল রাতে অভিযান চালায় সেনা-পুলিশ ও সিআরপিএফ। জঙ্গিরা গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে শুরু করায় পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। রাতভর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় ৩ জঙ্গি। সেনা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা সকলেই স্থানীয় আল-বদর জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য।


সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে  কিনিগাম গ্রামে নিরাপত্তা রক্ষীদের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে আল-বদর গোষ্ঠীর ৩ জঙ্গির। এদিন সকালে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইট করে জানায়, ৩ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এখনও তল্লাশি চলছে।


উল্লেখ্য, গত ২ মাসের মধ্যে এই নিয়ে তিনবার সোপিয়ানে চলল গুলির লড়াই। এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে আরও এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন ভোর রাতের ওই সংঘর্ষ হয়। সোপিয়ান জেলার ওয়ানগাম এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় শুরু হয়। কাশ্মীর জোন পুলিশ সূত্রে জানানো হয় যে, ওই গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। আধিকারিকরা জানান, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার ওয়ানগাম গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় শুরু হয়। 


ওই ঘটনার দিন এরইমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে একটি এম ৪ সহ একটি পিস্তল ও একটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। চিনার কর্পস জানিয়েছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই অভিযানে আরও এক সেনা জওয়ান জখম হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে ৯২ বেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। 


তার আগে গত ২২ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীরে গুলি বিনিময়ে চার লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। ওই দিন  সোপিয়ানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে  মৃত্যু হয় চার লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির। সোপিয়ানের মানিহাল এলাকায় ওই দিন ভোর রাত থেকে  জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় শুরু হয় বলে কাশ্মীরজোন পুলিশ জানিয়েছিল।