ঢাকা :  ঢাকার বুকে ছিল বড়সড় নাশকতার ছক ? তার আগেই মাতুয়াইল থেকে গ্রেফতার করা হল দুই সন্দেহভাজন নয়া জেএমবি জঙ্গিকে। বাংলাদেশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম(সিটিটিসি) ইউনিট-এর হাতেই ধরা পড়ে দু'জন।


বাংলাদেশের মেট্রোপলিটান পুলিশের অধীনেই কাজ করে এই সিটিটিসি শাখা। শাখার এক আধিকারিক দাবি করেন, রাজধানীতেই নাশকতামূলক কাজ করতে জড়ো হয়েছিল জঙ্গিরা। নয়া জেএমবির সদস্যদের সঙ্গে অনলাইনে কথা হত দু-জনের। এমনকী শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃতদের। প্রায়শই নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় হত সন্দেহভাজনদের।


সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। ধৃতের নাম শাকিব আহমেদ চৌধুরী ওরফে জাকি। যদিও দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম এখনও প্রকাশ্যে আনেনি সিটিটিসি। জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ-এর একটা শাখা এই নয়া জেএমবি। পুরোনো শাখার সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের যোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে হোলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার পরই প্রকাশ্যে আসে এই তথ্য। ঢাকার সেই হামলায় কমপক্ষে ২০ জন প্রাণ হারান। 


খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ি পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত মাতুয়াইলে হানা দেয় সিটিটিসি-র তদন্তকারী শাখা। সেখানেই ধরা পড়ে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। ধৃতদের থেকে দুটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার ইফতেখাইরুল ইসলাম। 


পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিংসা ছড়ানোর প্রোপোগান্ডা তৈরি করছিল এই দুই জন। মূলত, মানুষের মনে সন্ত্রাসবাদের বীজ বপণই উদ্দেশ্য ছিল এই দুজনের। এদের মধ্যে শাকিব সিলেটের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে ফ্রিলানসারের কাজ করছিল। ধৃতদের মধ্যে অন্যজন নাবালক। সে সিলেটের গভর্নমেন্ট প্রাইমারি প্রাইলট হাইস্কুলের ছাত্র।


ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বরাবরই সন্ত্রাসবাদী কাজের জন্য নাবালকদের নিশানা করে মৌলবাদীরা। বয়স কম হওয়ায় সহজেই এদের মনে জঙ্গি ভাবধারা প্রবেশ করানো যায়। ধর্মের নামে বিভেদ তৈরি করা যায় এদের মনে। পরবর্তীকালে যার সুযোগ নেয় সন্ত্রাসবাদীরা।