কলকাতা: আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষবৈঠক (G20 Summit) হতে চলেছে ভারতে। সেই জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে আকাশপথেও। সূত্রের খবর, তার জন্য ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (IGI Airport) যাতায়াত মিলিয়ে ৮-১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত ১৬০টি ঘরোয়া উড়ান বাতিল (Domestic Flight Cancelled) করা হয়েছে। শনিবার বিষয়টি জানিয়েছে এয়ারপোর্ট অপারেটর।
কী জানা গেল?
আইজিআই বিমানবন্দরের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড জানিয়েছে, ৮-১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৮০টি আইজিআই-গামী বিমান এবং ৮০টি আইজিআই-থেকে ফেরার বিমান বাতিল করার জন্য তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বিভিন্ন উড়ান সংস্থা। তবে বিমানের পার্কিং স্পেসের অভাবের জন্য এই বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে, এমন নয়। সঙ্গে দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডের তরফে এও জানানো হয়, ওই সময়ে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে কোনও পরিবর্তন হবে না। তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়, 'ভারত যে জি-২০ শীর্ষবৈঠকের আয়োজক দেশের ভূমিকা পালন করছে, এতে আমরা যারপরনাই গর্বিত। তবে উড়ান বাতিল নিয়ে যে খবর রয়েছে তার সঙ্গে পার্কিং স্পেসের অভাবের কোনও যোগ নেই। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।' তাদের বক্তব্য, জি-২০ শীর্ষবৈঠকের জন্য ট্র্যাফিক গতিবিধিতে যে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, সেই কারণেই সম্ভবত উড়ান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই উড়ান বাতিলের জন্য যাত্রীদের ভোগান্তি যতটা কমানো সম্ভব, ততটা কমানোর চেষ্টা চলছে।
আর কী...
বিমানবন্দরের আধিকারিকদের দাবি, সেখানে পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস রয়েছে। শীর্ষবৈঠক উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক উড়ানে যে বিদেশিদের আসার কথা, সেই উড়ানের জন্য আগেই পার্কিং স্পেস নির্ধারিত করা হয়েছে। তবে দিল্লি-এনসিআর এলাকায় শীর্ষবৈঠক চলাকালীন যে সব ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ জারি থাকবে, তার ফলে বিমানবন্দরে যাতায়াতের সময় বেশ কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে যাত্রীদের। সবটা মাথায় রেখে যাত্রীদের কাছে বিমানবন্দর আধিকারিকদের আর্জি, তাঁরা যেন তাঁদের উড়ানের সময়সূচি নিয়মিত দেখতে থাকেন। তাতে হয়তো কিছুটা হলেও ভোগান্তি কমানো সম্ভব হবে। চলতি বছরে প্রথম বার জি-২০ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছে ভারত। আর প্রথম বারই এই সম্মেলনের আসর বসে কলকাতায়। গত ১০ এবং ১১ জানুয়ারি জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সূচি নির্ধারিত হয় বাইপাসের ধারে জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অর্থনৈতিক বিষয়ের উপদেষ্টা চঞ্চল সরকার বলেন, "জি-২০ সম্মেলনে অনেক গ্রুপ রয়েছে। একটি ফিনান্সিয়াল, আর্থিক সংযুক্তিকরণ, প্রান্তিক মানুষকে যাতে এর অন্তর্ভুক্ত করা যায়।" সূত্রের খবর, জি-২০ সম্মেলনে সদস্য় দেশগুলি ছাড়াও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, নাবার্ড, এবং আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের মতো তাবড় বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাতে। এবার শীর্ষবৈঠক, যা হওয়ার কথা দিল্লিতে।