কলকাতা: এবার কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা ও তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। অন্যদিকে গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


সিবিআই যে আবেদন করেছিল তাতে মান্যতা দিল আদালত। কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে লালা ঘনিষ্ঠ আসানসোলের কয়লা ব্যবসায়ী রত্নেশ বর্মার নামেও।


সিবিআই সূত্রে খবর, বারবার তলব করা হলেও বা লুক আউট নোটিস জারি করা হয় লালার বিরুদ্ধে। কিন্তু তা সত্ত্বেও লালা সহ অভিযুক্তদের নাগাল পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। এদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।


সিবিআই সূত্রে খবর, তলবা করা হলেও বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে আসেননি লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়া। এরই মধ্যে লালার আরও ২ সহযোগীকে নতুন করে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর। আসানসোল-রানিগঞ্জের এই দুই ব্যবসায়ী লালার হয়ে কাজ করতেন। কয়লা পাচারের সিন্ডিকেটে এঁরা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। সিবিআইয়ের দাবি, আসানসোল-রানিগঞ্জ-জামুরিয়ার আরও ১০-১২ জন কয়লা ব্যবসায়ী এই পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁদেরও কিছুদিনের মধ্যেই তলব করা হতে পারে।


 অন্যদিকে গরুপাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। শুক্রবার শেষ হচ্ছে এনামুলের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ। কিন্তু শুক্রবার বড়দিন হওয়ায় বন্ধ থাকবে কোর্ট। আদালত সূত্রে খবর, তাই ফের তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার আদালতে সিবিআই জানায়, শুধুমাত্র বিএসএফ ও কাস্টমসের অফিসাররাই নন, এই চক্রের সঙ্গে যে প্রভাবশালী যোগ রয়েছে তা স্পষ্ট। তাই এনামুলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। সিবিআই এই আবেদন জানালেও এনামুলকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।