নয়া দিল্লি: আরও বিপাকে শেখ হাসিনা, এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি। পরোয়ানা জারির নির্দেশ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের। আওয়ামী লিগের শাসনকালে বহু বিচারাধীন বিরোধী নিখোঁজের অভিযোগে মামলা। ২টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ান জারি ৩ বিচারপতির বেঞ্চের। দেশত্যাগী হাসিনা ছাড়াও আরও ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। 

Continues below advertisement

বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গ্রহণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করে। পাঁচটি অভিযোগ গ্রহণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।                            

প্রথম অভিযোগে শেখ হাসিনা-সহ ১৭ জন এবং দ্বিতীয় অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। দুই তালিকায় রয়েছেন ডিজিএফআই-এর পাঁচজন প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল-সহ বহু সেনা আধিকারিক। হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ‌

Continues below advertisement

গত সোমবার থেকে ওই মামলায় সাক্ষীদের জেরা শুরু হয়েছে। ‌সরকারপক্ষ চাইছে চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের গোড়ায় সাজা ঘোষণা করা হোক। ‌হাসিনার বিরুদ্ধে এর আগেও এর আগেও বাংলাদেশের একাধিক আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ‌তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশ ইন্টারপোলকে রেট কর্নার নোটিশ জারির আবেদন জানায়। তবে এখনও পর্যন্ত ইন্টারপোল কোন আবেদনেই সাড়া দেয়নি।‌                                              

দুই মামলার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বিরোধী নেতা-কর্মীদের অপহরণ করে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেল এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে (জেআইসি) নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেছেন।                      

এর আগে  দেশ ছাড়ার পর প্রথম সাজা ঘোষণা শেখ হাসিনার। ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের। আদালত অবমাননার দায়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে কারাদণ্ডের নির্দেশ। হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লিগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলেরও কারাদণ্ডের নির্দেশ। জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় অবমাননার মামলা দায়ের হয় হাসিনা ও বুলবুলের বিরুদ্ধে।