নয়াদিল্লি: সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদ দেশের নাগরিকদের সংবিধানে বর্ণিত সমানাধিকারের ক্ষতি করেছে। তাতে সংখ্যালঘুদের নিজস্ব ধর্ম ও ধর্মভিত্তিক শিক্ষা প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যদিও অন্য সব ধর্মের এই অনুমতি নেই। তাহলে আমাদের দেশ যদি ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে থাকে, তবে ৩০ নম্বর অনুচ্ছেদের কী প্রয়োজন?
এভাবেই প্রকাশ্যে ভারতীয় সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার বিরোধিতা করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। প্রত্যাশিতভাবেই তাঁর এই মতের বিরোধিতা করা হতে পারে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির তরফে। ফলে বিজেপির এই শীর্ষ নেতার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
হিন্দিতে করা ট্যুইটে তিনি ৩০ অনুচ্ছেদকে ‘বৈষম্যমূলক’ তকমা দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই কৈলাসের বক্তব্য খন্ডন করে কংগ্রেস নেতা কে কে মিশ্র বিজেপির শীর্ষ নেতা সাম্প্রদায়িক আবেগ উসকে দিতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসে যখন গোটা মানবপ্রজাতি বিপন্ন, তখন বিজেপি ৩০ অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার জন্য আঁটঘাট বেঁধে নামছে। এটা তথাকথিত হিন্দুত্ববাদীদের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণার ভাইরাস’ ছড়ানোর চেষ্টা।



প্রসঙ্গত, দেশের ধর্মীয় বা ভাষাভিত্তিক সব সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে নিজেদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ৩০ অনুচ্ছেদে। বলা হয়েছে, ধর্ম বা ভাষা, যার ভিত্তিতেই হোক না কেন, কোনও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর পরিচালনাধীন, এই কারণ দেখিয়ে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বৈষম্য করতে পারবে না রাষ্ট্র। সংখ্যালঘুদের নিজেদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার অধিকার আছে। যদিও বিজয়বর্গীয়ের দাবি, সংবিধানে সমানাধিকারের যে গ্যারান্টি, আছে, তাকে, তার চেতনা, মর্মবস্তুকেই খর্ব করছে ৩০ অনুচ্ছেদ।