ওয়াশিংটন: করোনা পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্করতর হতে চলেছে বেকারত্ব সমস্যা। যার ইঙ্গিত মিলেছে মার্কিন মুলুকে লোকের চাকরি হারানোর হার দেখে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ সপ্তাহে আমেরিকায় বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে ৪ কোটিরও বেশি।
করোনা হানার পর থেকেই পর্যুদস্ত মার্কিন-অর্থনীতি। লকডাউন ও গৃহবন্দি থাকার ফলে বহু বহু কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে। মহাসঙ্কটে দৈনিক রোজগেরেরা।
গত এপ্রিলে আমেরিকায় ৬৬ লক্ষ মানুষ একসপ্তাহে বেকারত্বের তালিকায় নাম লিখিয়েছিল। রিপোর্ট বলছে, শুধু ওই মাসেই ২ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছিল আমেরিকায়। মার্চে ৪.৪ শতাংশ থেকে এপ্রিলে বেকারত্বের হার বেড়ে হয় ১৪.৭ শতাংশ। প্রতি সপ্তাহেই লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকারত্বের খাতায় নাম তুলছে। এমন পরিস্থিতি মহামন্দার সময়ও দেখেনি আমেরিকা।
শ্রম দফতর থেকে প্রকাশিত তথ্য বলছে, এই ধাক্কায় সব থেকে বেশি ক্ষতির শিকার হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি। শুধু সেই ক্ষেত্রেই চাকরি হারিয়েছেন ৪৮ লক্ষ মানুষ। যদিও চাকরি গেছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খুচরো ব্যবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও।
যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, সরকারি তথ্য বা রিপোর্টেড আনএমপ্লয়মেন্ট-এর থেকে আসল চাকরি যাওয়ার হার অনেক বেশি।
আনএমপ্লয়মেন্ট অ্যাপ্লিকেশন-এর সংখ্যা এতটাই বেশি, যে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। যেমন অরিগনে এখনও প্রায় ৩৮ হাজার আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেম প্রসেসিং-এর অপেক্ষায়। অনেকেই বেকার ভাতা কবে পাবেন জানেন না।
শুধু তাই নয় বেকার ভাতার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে, ভার বইতে পারছে না ওয়েবসাইট। সেই জন্য আবেদন করতেও সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। কেউ কেউ বহু প্রচেষ্টার পর আবেদন করছেন, কিন্তু ভাতা পেতে পেতে আরও মাসখানেকের অপেক্ষা।
চাকরি খুইয়ে কেউ কেউ কপর্দক শূন্য। এখন শুধু সরকারি ভাতার দিকেই তাকিয়ে তারা।
মৃত্যু মিছিলের মধ্যেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জনজীবনে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। আশা করা হচ্ছে, আবার বেকারত্বের গহ্বর থেকে ধীরে ধীরে উঠবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।