নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) রদ করার সিদ্ধান্ত সঠিক কি না, তার সুপ্রিম-রায় জানা যাবে আজই। ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেগুলির একত্রে শুনানির পর, রায়দান করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।


কারা রয়েছেন ওই বেঞ্চে?
পাঁচ সদস্যের (5 Member Bench) বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত। চলতি বছরে ধারাবাহিক শুনানির পর, গত ৫ সেপ্টেম্বর রায়দান স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। আজ রায় দেওয়ার কথা ওই মামলার (Article 370 Verdict)। 


কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তা:
অন্যদিকে, যে কোনও রকম অশান্তি এড়াতে জম্মু কাশ্মীরজুড়ে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা। PDP-র দাবি, দলনেত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। যদিও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট মনোজ সিনহা বলেছেন, 'এর কোনও ভিত্তি নেই। কাউকে গৃহবন্দি করা হয়নি বা রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি। গুজব ছড়ানো হচ্ছে।' ANI-কে পিডিপি নেতা মহম্মদ সৈয়দ খান জানিয়েছেন, বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে তাঁদের। ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা হাসনাইন মাসুদির দাবি, 'আমরা আশাবাদী যে জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের পক্ষেই সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা শান্তির পক্ষে।'


২০১৯-এ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই ৩৭০ ধারা রদ করে মোদি সরকার। আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হয় জম্মু ও কাশ্মীরকে। পূর্ণ রাজ্যের তকমা তুলে দিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয় কাশ্মীরকে। লাদাখকেও আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। জঙ্গি-হানায় বিধ্বস্ত কাশ্মীরবাসীকে এক নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেও একদিকে সন্ত্রাসহানার শিকার হয়েছে কাশ্মীর। অন্যদিকে কাশ্মীরেই হয়েছিল G20-এর ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং। বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা করে। সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক মামলা দায়ের হয়। সেই সমস্ত মামলার একত্রে শুনানির পর, আজ রায়দান করবে সর্বোচ্চ আদালত।  






আরও পড়ুন: আজও দৌড় শেয়ার বাজারে? আজ কোন স্টকে লক্ষ্মীলাভ?