নয়াদিল্লি: ৬ তারিখ দিল্লির এইমস হাসপাতালে প্রয়াণ হয়েছিল প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। তার ঠিক ৭২ ঘণ্টা পরই, ৯ তারিখ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে এইমস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দীর্ঘ ১৫ দিনের লড়াইয়ের পর শনিবার ২৪ অগস্ট বেলা ১২টা বেজে ৭ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। অরুণ জেটলির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “অরুণ জেটলির প্রয়াণে আমি একজন বন্ধুকে হারালাম। তাঁর গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সুক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অতুলনীয়। বহু সুখকর স্মৃতি রেখে গেলেন তিনি। আমরা তাঁর অভাব অনুভব করব।”
ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে তাঁর অটুট বন্ধনের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “বিজেপি ও অরুণ জেটলির বন্ধন ছিল অটুট। একজন দীপ্তমান ছাত্রনেতা হওয়ার সুবাদে জরুরী অবস্থা চলাকালীন দেশের গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াইয়ে তিনি ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। অরুণ জেটলি ক্রমে আমাদের দলের জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন, যিনি সমাজে দলীয় আদর্শ এবং কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।”
প্রসঙ্গত, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি একাধিকবার একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দায়িত্বভার সামলেছেন। অটল বিহারী বাজপেয়ী আমলে প্রথমবার মন্ত্রী হন তিনি। এরপর বিজেপি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মোদি মন্ত্রিসভার ‘সেকেন্ড ম্যান’ ছিলেন অরুণ জেটলি। প্রতিরক্ষা, অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন এই শীর্ষ বিজেপি নেতা। নরেন্দ্র মোদি ট্যুইটে জানিয়েছেন, “ভারতীয় সংবিধান, ইতিহাস, সরকারি নীতি, সরকার ও প্রশাসন সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ছিল অগাধ। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছেই তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।”