নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় এখনও তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। সেখানে স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে তাঁকে সরাসরি দেখা করতে দেওয়া হল না বলে এবার অভিযোগ তুলল Aam Aadmi Party (AAP). AAP-এর অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে কেজরিওয়ালকে সরাসরি দেখা করতে বা কথা বলতে দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র কাচ বসানো জানলার অপর প্রান্ত থেকে স্ত্রীর সঙ্গে কেজরিওয়াল কথা বলতে পারবেন বলে অনুমতি দেওয়া হয়। (Delhi Liquor Policy Case)


চলতি মাসে আবগারি দুর্নীতি মামলাতেই জামিন পেয়ে বেরিয়ে এসেছেন AAP নেতা সঞ্জয় সিংহ। তিনিই তিহাড় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে 'অমানবিক' আচরণের অভিযোগ এনেছেন। সঞ্জয়ের দাবি, সরাসরি স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি কেজরিওয়ালকে। কাচের জানলার জানলার অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে কথা বলা যাবে বলে জানানো হয়। কুখ্যাত অপরাধীরাও পরিবারের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ পান, কেজরিওয়ালকে সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ AAP-এর। 


শনিবার এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন AAP নেতৃত্ব। সেখানে সঞ্জয় বলেন, "স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন সুনীতা কেজরিওয়াল। কিন্তু তাঁকে বলা হয়, সামনাসামনি দেখা করা যাবে না। জানলার এপার-ওপার দাঁড়িয়ে কথা বলা যেতে পারে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করতে, তাঁর মনোবল ভেঙে দিতেই এমন অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। পূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বলছি, কুখ্যাত অপরাধীদের সঙ্গেও ব্যারাকে গিয়ে দেখা করা যায়। কিন্তু দিল্লির তিন বারের মুখ্যমন্ত্রীকে কাচ বসানোর জানলা দিয়ে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়। কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে কেন এমন আচরণ?"



আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'এখন থেকেই বলছে জেলে পুরবে, উল্টো টাঙিয়ে দেবে, জিতলে কী করবে ভাবুন'! মমতার নিশানায় BJP


কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই কেজরিওয়ালের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সঞ্জয়। তাঁর বক্তব্য, "কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই কেজরিওয়ালের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।" এর আগে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে কেজরিওয়ালের সাক্ষাৎ বাতিল করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সঞ্জয়। সেক্ষেত্রেও কাচের জানলার এপার-ওপার থেকে কথা বলা যাবে বলে নাকি জানানো হয়, দাবি সঞ্জয়ের।


এ প্রসঙ্গে সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত সুব্রত রায়ের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। সঞ্জয়ের দাবি, জেলে থাকাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা, ফোন এমনকি তিহাড়ে দফতরের সুযোগ-সুবিধাও পান সুব্রত। নিয়মিত সেখানে ব্য়বসায়িক বৈঠক হতো, ফাইলে সইসাবুদও হতো। তাহলে কেজরিওয়ালকে নিয়ে এত ভয় কেন, প্রশ্ন তোলেন সঞ্জয়। 


আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ED. দিল্লি হাইকোর্টে গ্রেফতারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে কেজরিওয়ালকে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন তিনি। বেআইনি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে,  সেই আবহেই শনিবার এই অভিযোগ তুললেন সঞ্জয়।