নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির তিহাড় জেলে এই মুহূর্তে বন্দি রয়েছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির নেপথ্য়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে তাঁর দল Aam Aadmi Party এবং বিজেপি বিরোধী শিবির। সেই আবহেই এবার আরও মারাত্মক অভিযোগ তুলল AAP. তাদের দাবি, জেলের মধ্যে কেজরিওয়ালকে মেরে ফেলার চক্রান্ত চলছে। ডায়বিটিসের রোগী কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। (Arvind Kejriwal Health)


টাইপ টু ডায়বিটিসের রোগী কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য নিয়ে টানাপোড়েন পৌঁছেছে আদালত পর্যন্ত। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলতে চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু আদালতে তার বিরোধিতা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ED-র দাবি, কেজরিওয়াল ইচ্ছাকৃত ভাবে জেলের মধ্যে মিষ্টি, কলা, আম, লুচি, আলুর তরকারি খেয়ে চলেছেন, যাতে স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে জামিন পেতে পারেন। (Arvind Kejriwal Arrested)


সেই আবহেই বৃহস্পতিবার মারাত্মক অভিযোগ তুলল AAP. তাদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার কেজরিওোয়ালের রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করছে। বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও তিহাড় কর্তৃপক্ষ কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন দিচ্ছেন না। Aap নেত্রী অতিশীর অভিযোগ, কেজরিওয়ালকে মেরে ফেলার চক্রান্ত চলছে। তাই এমন আচরণ হচ্ছে তাঁর সঙ্গে। 


আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal Arrested: কলা-মিষ্টি খেয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে সুগার বাড়াচ্ছেন কেজরিওয়াল, আদালতে দাবি ED-র


সংবাদমাধ্যমে এদিন মুখ খোলেন অতিশী। তিনি বলেন, "এ কী ধরনের ষড়যন্ত্র যে ৩০ বছর ধরে ডায়বিটিসে ভুগছেন যে রোগী, তাঁকে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না? কেজরিওয়ালকে কি প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে ওরা? নির্বাচনে কেজরিওয়ালকে হারাতে পারবে না BJP. তাই আজ জেলের মধ্যে কেজরিওয়ালকে মেরে ফেলার চক্রান্ত চলছে।"


অতিশী জানিয়েছেন, রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য় রাখতে দিনে ৫৪ ইউনিট ইনসুলিন নিতেন কেজরিওয়াল। গত ৩০ বছর ধরে টাইপ ২ ডায়বিটিসের সঙ্গে যুঝছেন তিনি। তাঁর জন্য বাড়ির খাবার জেলে পাঠানোয় অনুমতি দিয়েছে আদালত। নির্দিষ্ট ডায়েট রয়েছে কেজরিওয়ালের, যাতে তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু BJP নিজেদের সহযোগী ED-র মাধ্যমে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্যে আঘাত হানছে বলে দাবি অতিশীর।


কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য নিয়ে এদিন আদালতেও সংঘাত বাধে তাঁর আইনজীবী এবং ED-র মধ্যে। কেজরিওয়াল ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার বিরোধিতা করে ED. আদালতে সমবেদনা কুড়িয়ে জামিন পেতে কেজরিওয়াল ইচ্ছাকৃত ভাবে মিষ্টি, মিষ্টি ফল, লুচি-তরকারি খাচ্ছেন বলে দাবি করে তারা। কিন্তু জেলের মধ্যে কেজরিওয়াল এসব কোথা থেকে পাচ্ছেন, পাল্টা প্রশ্ন তোলেন কেজরিওয়ালের আইনজীবী। সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম তৈরি করতেই কেজরিওয়াল এমন দাবি করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।